Advertisment

তল্লাশিতে মিলেছে কাড়ি কাড়ি টাকা, মালদার সেই পরিযায়ী শ্রমিকের পেল্লাই বাড়ি দেখলে চক্ষু ছানাবড়া

এ তো প্রাসদ!

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
malda royal shaikh big house

কালিয়াচকের প্রত্যন্ত গ্রামে ধৃত রয়েল শেখের নির্মীয়মান বাড়ি। ছবি: মধুমিতা দে

দুর্গম গ্রাম, সেই গ্রামে যাওয়ার একমাত্র মাধ্যম মোটর বাইক, সাইকেল অথবা তিন চাকার ভ্যান। গ্রামের অধিকাংশই মাটি এবং টালির বাড়ি। আর তারই মাঝে তিন তালার প্রাসাদোপম বাড়ি ভিন রাজ্যের দিনমজুর রয়েল শেখের। যার বাড়ি থেকে গত শুক্রবারই রাজ্য পুলিশের এসটিএফ নগদ ৩৭ লক্ষ টাকার বেশি উদ্ধার করেছিল। 

Advertisment

কালিয়াচক থানার জালুয়াবাধাল গ্রাম পঞ্চায়েতের গঙ্গা নারায়ণপুর এলাকায় এখন ধৃত পরিযায়ী শ্রমিককে নিয়ে চর্চা তুঙ্গে। ধৃত রয়েল শেখ কখনও নির্মাণ শ্রমিকের কাজ করতেন, আবার কখনও টাওয়ারের কাজে ভিন রাজ্যে যেত। দিনে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা রোজ হিসাবেই ভিন্ন রাজ্যে গিয়ে কাজ করত সে। পরিবারের স্ত্রী, ছেলে, মেয়ে, বৃদ্ধ বাবা-মা সকলেই রয়েছেন। কিন্তু রয়েল শেখ গ্রেফতারের পর থেকেই তালাবন্দি ওই বাড়ি। মুখে কুলুপ এঁটেছে গ্রামের বাসিন্দারাও।

বহিরাগত মানুষদের বাড়ির সামনে ঘোরাফেরা করলেই অচেনা গ্রামের মানুষেরা এসে ঘিরে ধরছে। স্থানীয়রা কিছুতেই সেখানে ভিড়তে দিচ্ছে না বহিরাগতদের। এই গ্রাম থেকেই ঢিল ছোড়া দূরত্ব রয়েছে ভারত- বাংলাদেশ সীমান্ত। ফলে পুলিশের খাতায় অপরাধ জগতের তালিকায় ওই গ্রামের নাম বিশেষভাবে উল্লেখ রয়েছে। 

পুলিশের একটি সূত্র থেকে জানা গিয়েছে, একসময় গঙ্গা নারায়ণপুর গ্রামে বোমাবাজির, সংঘর্ষ খুনের ঘটনা হামেশাই ঘটতো। কিন্তু বাম জামানার অবসান হওয়ার পর ধীরে ধীরে সেই গ্রামে অনেকটাই শান্তি ফিরেছে। তবে পুলিশ ও গোয়েন্দা দফতরের একটি সূত্র জানাচ্ছে, এই গ্রামের অনেকেই এখনও বড় ধরনের মাদক কারবারের সঙ্গে যুক্ত। যার প্রমাণ রয়েল শেখ। যার বাড়ি থেকেই নগদ প্রায় ৩৮ লক্ষ টাকা উদ্ধার হয়। ভিন্ন রাজ্যে দিনমজুরি কাজের নাম করেই রয়েল শেখ মাদক পাচারের বড় একটি চক্রের সঙ্গে যুক্ত ছিল বলেই প্রাথমিকভাবে মনে করছে পুলিশ।

এসটিএফ সূত্রে খবর, এই বিপুল পরিমাণে অর্থের সঙ্গে সরাসরি যোগ রয়েছে মাদক কারবারের। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে কালিয়াচক থানার মোজামপুর থেকে হেরোইন সহ রয়েল শেখ নামে ওই যুবককে গ্রেফতার করে সিআইডি। রয়েল শেখের স্ত্রী ফতেমা বিবিকে এই মামলায় মূল অভিযুক্ত করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

উল্লেখ্য, চলতি বছর ৪ সেপ্টেম্বর গাজোল থানা এলাকায় মাছ ব্যবসায়ী জয়প্রকাশ সাহার বাড়ি থেকে ১ কোটি ৩৯ লক্ষ টাকা উদ্ধার হয়। অভিযোগ উঠে আসে সেই টাকার উৎস বাংলাদেশে ফেনসিডিল, কাফ সিরাপ পাচার। পার্শ্ববর্তী জেলা গঙ্গারামপুরের এক ব্যবসায়ী ফেনসিডিল পাচারের অভিযোগে সিআইডির হাতে গ্রেফতার হয়। সেই সূত্র ধরেই গাজোলে টাকা উদ্ধার হয়। ঠিক তারপরেই আবার বিপুল টাকা উদ্ধার।

Maldah Malda West Bengal Police West Bengal
Advertisment