Maldah: ভিন রাজ্যে কাজ করতে যাওয়াই হল কাল। উত্তরপ্রদেশের বারাণসীতে বাড়ি ভেঙে পড়ে মৃত্যু হল বাংলার দুই যুবকের। পরিযায়ী শ্রমিক হিসাবে কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরের সংস্কারের কাজ করছিলেন তাঁরা। কিন্তু সোমবার ভোর রাতে আচমকা বাড়ি ভেঙে পড়ে মৃত্যু হয় তাঁদের। এই ঘটনায় মালদহের কালিয়াচকে তাঁদের পৈতৃক পরিবারে শোকের ছায়া নেমেছে। আজ, বুধবার তাঁদের দেহ ফিরিয়ে আনা হচ্ছে গ্রামে। ইতিমধ্যেই পরিবারের পাশে দাঁড়াতে মালদহের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।
জানা গিয়েছে, মৃত শ্রমিকদের নাম আমিরুল মোমিন (৪০) এবং এবাদুল মোমিন (৩০)। বাড়ি কালিয়াচকের আলিপুর-২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার শেরশাহি গ্রামে। সপ্তাহ তিনেক আগে ওই দুই যুবক-সহ এলাকার মোট ১২ জন শ্রমিক মন্দির নির্মাণের কাজ করতে পাড়ি দিয়েছিলেন উত্তরপ্রদেশের বারাণসীর বাসাসামিত এলাকায়। সেখানে মন্দিরের সংস্কারের কাজ করছিলেন তাঁরা।
সোমবার কাজের পর কিছুটা দূরে একটি বাড়িতে নিজেদের অস্থায়ী ঠিকানায় যান তাঁরা। এরপর ভোর রাতে আচমকা বাড়ি ভেঙে পড়ে। দেওয়াল চাপা পড়ে মৃত্যু হয় আমিরুল ও এবাদুল। আরও বেশ কয়েকজন আহত হন। এই খবর কালিয়াচকের গ্রামের বাড়িতে পৌঁছতেই কান্নায় ভেঙে পড়েন সবাই।
আরও পড়ুন উপেক্ষিত হয়েও হাল ছাড়েননি, সেই সেলিনাই আজ কোভিড আক্রান্তদের ত্রাতা
মঙ্গলবার সন্ধেয় রাজ্যসভার সাংসদ মৌসম নুর নিহত এবং আহতদের পরিবারকে সমবেদনা জানান। তাঁদের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দেন। এই ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে বুধবার সকালেই মালদহে রওনা হন পরিবহণ মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলির পাশে থাকার জন্য সরকার সবকিছু করবে বলে জানিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি যোগী প্রশাসনের উপর ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তিনি। উত্তরপ্রদেশ সরকার মৃতদের কোনও রকম সাহায্য করেনি বলে তাঁর দাবি।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন