কারা ওই এলাকায় বোমা-গুলি রেখেছিল সে ব্যাপারে এখনও পরিষ্কার করে জানতে পারেনি পুলিশ। ছবি-মধুমিতা দে
বল ভেবে বোমা নিয়ে খেলতে গিয়ে আচমকা ব্যাপক বিস্ফোরণ গুরুতর জখম হল পাঁচ বালক। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তিন বালককে ভর্তি করা হয়েছে মালদা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। বাকি দুজনের চিকিৎসা চলছে কালিয়াচক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। রবিবার বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে কালিয়াচক থানার অন্তর্গত গোলাপগঞ্জ ফাঁড়ির গোপালনগর এলাকায়।
Advertisment
এদিকে আমবাগানে আচমকা বিস্ফোরণের জেরে গোটা গ্রামজুড়ে শোরগোল পড়ে যায়। ছুটে আসে আশপাশের প্রচুর মানুষ। পরে খবর পেয়ে তদন্তে আসে গোলাপগঞ্জ ফাঁড়ি এবং কালিয়াচক থানার বিশাল পুলিশবাহিনী। পাঁচ বালকের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় বোমার আঘাত লেগেছে বলে জানিয়েছে মেডিক্যাল কলেজ এবং সংশ্লিষ্ট প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা।
এখানেই ব্যাগের মধ্যে রাখা ছিল গুলি-বোমা। ছবি- মধুমিতা দে
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বোমা বিস্ফোরণে গুরুতর জখম হয়েছে পল্টু সাহা (৮), মিঠুন সাহা (৯) এবং আবদুর রাহান (১০)। এদের তিনজনের চিকিৎসা চলছে মালদা মেডিক্যাল কলেজে। বাকি দুই বালক শুভজিৎ সাহা (৮) এবং বিক্রম সাহা (৯) তাদের চিকিৎসা চলছে কালিয়াচক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে।
স্থানীয় গ্রামবাসীরা পুলিশকে জানিয়েছেন, এদিন বিকেলে গোপালনগর এলাকার নিখিল সাহার বাড়ির পিছনে আম বাগানে খেলছিল ওই পাঁচ বালক। সেখানেই পরিত্যক্ত একটি জঙ্গলের মধ্যে ব্যাগের মধ্যে মজুত করা ছিল বোমা-গুলি। ক্রিকেট বল ভেবে সেই বোমা-গুলি ধরতে গিয়ে আচমকা বিস্ফোরণ ঘটে। আর তাতেই গুরুতর জখম হয়েছে ওই পাঁচজন। তবে কারা ওই এলাকায় বোমা-গুলি রেখেছিল সে ব্যাপারে এখনও পরিষ্কার করে জানতে পারেনি পুলিশ। পুরো ঘটনাটি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
মালদার পুলিশ সুপার অমিতাভ মাইতি জানিয়েছেন, বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় কয়েক জন বালকের জখম হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। কীভাবে ওই বোমা-গুলি সেখানে মজুর করা ছিল এবং কারা এর পিছনে জড়িত রয়েছে, সেই সব বিষয় নিয়ে তদন্ত শুরু করা হয়েছে। দুষ্কৃতীদের খোঁজ চালাচ্ছে কালিয়াচক থানার পুলিশ।