জঙ্গলের মধ্যে বোমা বাঁধতে গিয়ে আচমকা বিস্ফোরণ। ভয়াবহ এই ঘটনার জেরে দু’জনের দেহ ছিন্ন ভিন্ন হয়ে গেল। বিস্ফোরণে আহত হয়েছেন আরও দু’জন। যদিও এই ঘটনায় মৃতের সংখ্যা আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে বলেই অনুমান পুলিশের। রবিবার ভোররাতে ঘটনাটি ঘটেছে মালদহের মানিকচক থানার গোপালপুরে।
আবারও বোমা বাঁধতে গিয়ে বিপত্তি। বোমা ফেটেই একের পর এক মৃত্যু। এদিন বিস্ফোরণের পর দেহ লোপাটের আশঙ্কা তদন্তকারী পুলিশ আদিকারিকদের। আহতদের একজনকে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। অন্য আহতকে মানিকচকের গঙ্গা নদী পার করে ঝাড়খণ্ডে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তে জানতে পেরেছে পুলিশ। গেটাা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত দু’জনের নাম শফিকুল ইসলাম (৩২) এবং ফজরুল শেখ (৪২)। আহত দু’জনের নাম ও পরিচয় এখনও জানতে পারেনি পুলিশ। যে পরিতক্ত জঙ্গলে বোমা বাঁধার কাজ চলছিল, সেখান থেকে দু’জনের শরীরের কয়েকটি অংশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বোমা বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই ছিল যে মৃতদের শরীর থেকে হাত পা ছিন্নভিন্ন হয়ে যায়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গোপালপুর এলাকার নির্জন একটি পাট ক্ষেতের মধ্যে এদিন ভোরে ছয় থেকে সাতজন মিলে বোমা বাঁধার কাজ করছিল। সেই সময় আচমকায় বিস্ফোরণ ঘটে। পুলিশের অনুমান, একসঙ্গে তিন থেকে চারটি বোমা পরপর ফেটে যায়। তাতেই ঘটনাস্থলে মারা যায় দু’জন। আহতদের সংখ্যা বেশি রয়েছে।
আরও পড়ুন- রাষ্ট্রপতি নির্বাচনেও কারচুপির আশঙ্কা, তৃণমূলকে তুলোধনা শুভেন্দুর
আহত এক ব্যক্তি ভর্তি মালদহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। তবে এখনও ওই ব্যক্তির জ্ঞান পেরেনি। পুলিশি ঘেরাটোপে ওই ব্যক্তির চিকিৎসা চলছে। এদিকে মৃত ফজরুল শেখের স্ত্রী আজমিরা বিবি জানিয়েছেন, এদিন ভোরে গ্রামের কয়েকজন এসে তাঁর স্বামীকে ডেকে নিয়ে যায়।
তিনি আরও বলেন, ”কিছুদিন ধরেই গ্রামে একটি গন্ডগোল চলছে। ওরা আমাদের ওপর হামলা করতে পারে। মারধর করতে পারে। এই ভেবে আমার স্বামী পাল্টা প্রস্তুতি নিচ্ছিল। তা বলে ওরা যে বোমা বানাতে পারে সেটা ভাবিনি। পরে গ্রামবাসীদের মুখে জানতে পারি বোমা বিস্ফোরণে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে।” পুলিশ সুপার প্রদীপ কুমার যাদব জানিয়েছেন, পুরো বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।