/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2023/11/Child-Adoption-Programm.jpg)
প্রশাসনের উদ্যোগে বিশেষ কর্মসূচি।
উত্তরবঙ্গে এই প্রথম সন্তান দত্তক দেওয়া এবং নেওয়া অভিভাবক ও শিশুদের নিয়ে মিলন উৎসবের আয়োজন করেছিল প্রশাসন। মঙ্গলবার দুপুরে মালদহ জেলা শিশু সুরক্ষা দফতরের উদ্যোগে ইংরেজবাজারের লাইব্রেরি সংলগ্ন বই বাগানে প্রায় ১০০ জন দম্পতির উপস্থিতিতে এই উৎসব পালন করা হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মালদহের অতিরিক্ত জেলাশাসক উন্নয়ন অনিন্দ্য সরকার-সহ জেলা শিশু সুরক্ষা দফতরের পদস্থ কর্তারা।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, যে অভিভাবকেরা সন্তানহীন ছিলেন এবং যাঁরা শিশু দত্তক নিয়ে বাবা-মা হতে চেয়েছিলেন, এমনই দত্তক নেওয়া শিশু-সহ দম্পতিরা এদিনের এই মিলন উৎসবে সামিল হয়েছিলেন। এছাড়াও যে অভিভাবকেরা তাঁদের সন্তানদের নানা টানাপোড়েনের জেরে অন্য দম্পতিদের দিয়েছিলেন তাঁদেরও অনেকে এখানে উপস্থিত হয়েছিলেন। সকলের মেলামেশা এবং খোলামেলা আলোচনার মাধ্যমেই এই মিলন উৎসবের আয়োজন করা হয়।
প্রশাসন সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, গত এক বছরে মালদায় প্রশাসন ও শিশু সুরক্ষা দফতরের অনুমোদিত আটজন শিশুকে দত্তক নিয়েছেন বিভিন্ন এলাকার দম্পতিরা। পিতা ও মাতার স্বীকৃতি তৈরি করার লক্ষ্যেই অনেক দম্পতিই এদিন এই উৎসবে হাজির ছিলেন। বহু দম্পতিই দত্তক নেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
আরও পড়ুন- জাল ফেলতেই জলের তলা থেকে বীভৎস টান! তুমুল হইচই সুন্দরবনে! তারপর?
এদিনের এই মিলন উৎসবে উপস্থিত এক গৃহবধূ সোনালী সরকার বলেন, "নানা কারণে বিয়ের দীর্ঘ কয়েক বছর পরেও মা হতে পারিনি। তাই আমি এই অনুষ্ঠানে এসে উপস্থিত হয়েছি। আমি সন্তান দত্তক নিয়ে মা হওয়ার স্বীকৃতি পেতে চাই। সমাজে চলার ক্ষেত্রে সন্তানের সহযোগিতার প্রয়োজন রয়েছে। কীভাবে সন্তান পেলাম সেটা জরুরি নয়। পিতা-মাতা হওয়াটাই জরুরি। তাই এদিন প্রশাসনের কাছে এই মিলন উৎসবের মাধ্যমে সন্তান দত্তক নেওয়ার আর্জি জানিয়েছি।"
আরও পড়ুন- দিঘায় ঝড়ের গতিতে এগোচ্ছে জগন্নাথ মন্দিরের কাজ, রামমন্দিরের আগেই উদ্বোধন?
এদিন অতিরিক্ত জেলাশাসক (উন্নয়ন) অনিন্দ্য সরকার বলেন, "যাঁরা সন্তান দত্তক নিয়েছেন, সেই সব অভিভাবকেরা এদিন এখানে উপস্থিত হয়েছিলেন। একটা পরিবেশ থেকে নতুন আরেকটি পরিবেশে শিশু যখন যায় সেক্ষেত্রে সেই পরিবেশ কতটা মানিয়ে নিতে পারে সেটাও আমাদের জানা দরকার। দত্তক নেওয়া কোনও শিশু কীভাবে লালন-পালন হচ্ছে তার খোঁজখবর নেওয়াটাও আমাদের প্রয়োজন। নতুন পরিবেশে গিয়ে অভিভাবকরা কীভাবে তাঁদের সন্তানদের পালন করছেন এবং যাঁরা দত্তক দিচ্ছেন তাঁদের পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখেও এই মিলন উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। আগামী দিনে যাঁরা নতুনভাবে সন্তান দত্তক নেবেন তাঁরাও অনেক কিছু জানবেন এই উদ্যোগের মাধ্যমে।"
আরও পড়ুন- শীতে দার্জিলিংয়ে ঘুরতে যাচ্ছেন? এবার খসবে বেশি টাকা, কী সিদ্ধান্ত পুরসভার?