না এটা কোনও সিনেমার শুটিং নয়। অভিযোগ, সরকারি অফিসে নিজের চেয়ারে বসেই আগ্নেয়াস্ত্র দেখাচ্ছেন পুরাতন মালদহ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তথা মালদহ জেলা মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভানেত্রী মৃণালিনী মণ্ডল মাইতি। যদিও এই ছবিটি সরকারি অফিসের ভিতরের কিনা বা আগ্নেয়াস্ত্রটিও আসল কিনা তা যাচাই করেনি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা। তবে ইতিমধ্যেই আগ্নেয়াস্ত্র হাতে নিয়ে মালদহ জেলা মহিলা তৃণমূলের সভানেত্রী মৃণালিনী মণ্ডলের ছবি ভাইরাল হয়েছে।
পুরাতন মালদহ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তথা মালদহ মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভানেত্রী মৃণালিনী মণ্ডল মাইতি। এর আগেও একাধিকবার নানা ঘটনাকে কেন্দ্র করে তাঁকে নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। একবার বিডিও অফিসের মধ্যে সরকারি এক কর্মীকে মারধরেরও অবিযোগ উঠেছিল তাঁর বিরুদ্ধে। এছাড়াও একাধিক অভিযোগ রয়েছে তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধেও। এবার সরকারি অফিসের মধ্যেই 'আগ্নেয়াস্ত্র' হাতে খোদ জেলা মহিলা তৃণমূলের সভানেত্রীর ছবি ভাইরাল হওয়ায় রীতিমতো অস্বস্তিতে পড়েছে জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব।
শাসকদলের জেলা নেতা তথা রাজ্য তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী বলেন, 'সরকারি চেয়ারে বসে এই ধরনের আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে খেলা করাটা ঠিক নয়। আগ্নেয়াস্ত্রটি খেলনা না আসল, সেটা পুলিশ অনুসন্ধান করে বলবে। তবে আমি যেটা ছবিতে দেখলাম তাতে মনে হচ্ছে এটা অরিজিনাল আগ্নেয়াস্ত্র। জনগণের কাছে এর ফলে ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে।'
আরও পড়ুন- দুর্যোগ কাটিয়ে আবহাওয়ার উন্নতি, সপ্তাহান্তে বঙ্গে জাঁকিয়ে শীত
এদিকে, তৃণমূলের বিরুদ্ধে হাতে গরম এমন একটি ইস্যু পেয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি। জেলা বিজেপি সভাপতি গোবিন্দ চন্দ্র মণ্ডল বলেন, 'গত ১১ বছরে রাজ্যের পাশাপাশি মালদহকেও বারুদের স্তূপে দাঁড় করিয়েছে শাসকদল। ওদের অফিসে এটাই কালচার। পিস্তল আছে, খুঁজলে বোমাও পাওয়া যাবে। খুঁজলে একে ৪৭ পাওয়া যেতে পারে। এটা ওদের কালচার হয়ে দাঁড়িয়েছে। চাকরি চলে যাবে ভয়ে পুলিশ প্রশাসন চুপ চাপ আছে।'
এদিকে, যাঁর বিরুদ্ধে এই অভিযোগ সেই মৃণালিনী মণ্ডল মাইতি এদিন বলেন, 'মিথ্যা অভিযোগ আনা হচ্ছে। আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। যেটা দেখা যাচ্ছে ওটা আগ্নেয়াস্ত্র নয়। ওটা লাইটার।'
ইন্ডিয়ানএক্সপ্রেসবাংলাএখনটেলিগ্রামে, পড়তেথাকুন