এক টকিটেই বাজিমাত। রাতারাতি কোটিপতি চা বিক্রেতা। বাঁধভাঙা আনন্দের সঙ্গেই ততক্ষণে ‘কোটিপতি’ চা বিক্রেতার মনে জমেছে একরাশ আতঙ্ক। কোটি টাকার টিকিট হাতে সটান হাজির থানায়। শেষমেশ পুলিশকর্মীদের নিরপাত্তার আশ্বাসে আশ্বস্ত হলেন মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরের কমল মহলদার।
মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরের কুশিদা হাটখোলার বাসিন্দা বছর পঁয়ত্রিশের কমল মহলদার। চা বিক্রির সঙ্গেই লটারির টিকিটও বিক্রি করতেন তিনি। সোমবার বিকেলে কমলের দোকানে ১২০ টাকার টিকিট অবিক্রিত থেকে যায়। সেই টিকিটেই ভাগ্য খুলে যায় কমলের। সন্ধেয় জানতে পারেন তাঁর কাছে থাকা টিকিটেই এক কোটি টাকা উঠেছে। বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাসে মেতে ওঠেন কমল। তবে ততক্ষণে কমলের রাতারাতি কোটিপতি হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়েছে চারিদিকে।
আনন্দের পাশাপাশি এবার মনের কোণে খানিকটা ভয়ও জমতে শুরু করে যুবকের। কোনও ঝুঁকি নিতে চাননি কমল। কোটি টাকার টিকিট হাতে এরপর সটান তিনি হাজির হন হরিশ্চন্দ্রপুর থানায়। পুলিশকর্মীদের তাঁর কোটিপতি হওয়ার গল্প সব খুলে বলেন তিনি। কোটি টাকা জিতে নিরাপত্তার অভাব বোধ করছিলেন কমল মহলদার। রাতে বাড়িতে ওই মহার্ঘ্য টিকিট নিয়ে থাকতে রাজি ছিলেন না কমল। যুবকের মানসিক পরিস্থিতি বুঝে তাঁকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তার আশ্বাস দেন পুলিশকর্মীরাও। রাতটা থানাতেই কাটিয়েছেন কমল।
আরও পড়ুন- তাক লাগানো উদ্যোগ, চাঁদার বদলে ধান কেটে পুজোর আয়োজন
কমল মহলদারকে দেখার জন্য সোমবার সন্ধেয় হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় ভিড় জমে গিয়েছিল। বৃদ্ধ বাবা-মা, স্ত্রী ও দুই সন্তানকে নিয়ে কমলের পরিবার। মা নির্মলা মহলদার কুশিদা বাজারে সবজি বিক্রি করেন। কোটি টাকা জিতে কোন স্বপ্ন পূরণ করবেন কমল? জানালেন, দুই সন্তানকে ভালো শিক্ষা দিতে চান তিনি। সন্তানদের লেখাপড়া ও তাদের বেড়ে ওঠার পিছনেই ওই টাকা খরচের পরিকল্পনা কমল মহলদারের।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন