টানা বৃষ্টিতে জল থৈ থৈ মালদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল চত্বর। এমনকি মেডিকেল কলেজের বিভিন্ন বিভাগের বৃষ্টির জমা জল ঢুকে চরম দুর্ভোগের শিকার রোগী এবং তাঁদের আত্মীয়স্বজন। জল নিকাশির জন্য মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ বুধবার সকাল থেকেই পাম্প মেশিন চালিয়ে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিয়েছে। পাশাপাশি ইংরেজবাজার পুরসভার পক্ষ থেকেও মেডিকেল কলেজের জলমগ্ন পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।
মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকে লাগাতার বৃষ্টি হয় মালদায়। আর তার জেরে বুধবার সকাল থেকেই মালদা মেডিকেল কলেজ চত্বর সহ বিভিন্ন এলাকা বৃষ্টির জমা জল উপচে পড়ে। মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল চত্বরের জরুরি বিভাগ থেকে শুরু করে একাধিক বিভাগ জলমগ্ন হয়ে পরে। সমস্যায় পরতে হয় রোগী ও তাঁদের পরিবারের লোকেদের। পাশাপাশি মেডিকেল কলেজে জল জমে যাওয়ার কারণে রোগীদের পরিষেবা দিতে গিয়ে চিকিৎসক, নার্স এবং স্বাস্থ্যকর্মীরাও চরম দুর্ভোগে পড়েন। হাসপাতালজুড়ে নাজেহাল অবস্থা।
ইংরেজবাজার পুরসভার চেয়ারম্যান কৃষ্ণেন্দু চৌধুরী জানিয়েছেন, মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল চত্বর এলাকায় জল জমার সমস্যা দীর্ঘদিনের। পরিস্থিতি পরিদর্শন করে দেখা হয়েছে। বৃষ্টির জমা জল নিকাশির ক্ষেত্রে পুরসভা থেকে কর্মীদের পাঠিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে জলমগ্ন শহরের রথবাড়ি সবজি বাজার থেকে শুরু করে নেতাজি পুর মার্কেটের একাধিক দোকান। জল ঢুকে গিয়েছে একাধিক দোকানে। মঙ্গলবার রাতভর এবং বুধবার ভোর রাত থেকে মুষলধারে বৃষ্টির জেরে মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পাশাপাশি শহরের রথবাড়ি সবজি বাজার এবং নেতাজি পৌর মার্কেটের একাধিক দোকানে জল ঢুকে যায়। বহু ব্যবসায়ীর সবজি জলে ভেসে গিয়েছে। ফলে কার্যত সকাল থেকেই ব্যবসা-বাণিজ্য বন্ধ রথবাড়ি সবজি বাজারের ব্যবসায়ীদের। পাশাপাশি নেতাজি পৌর মার্কেটের একাধিক দোকানে জল ঢুকে যায়। হাঁটু জলেই দাঁড়িয়ে থেকে ব্যবসা-বাণিজ্য করতে থাকে ব্যবসায়ীরা।
আরও পড়ুন বাগুইআটি কাণ্ডের ছায়া বীরভূমে, অপহরণের পর নৃশংস কায়দায় খুন ছাত্রকে
ইংরেজবাজার পুরসভার অধিকাংশ নাগরিকদের বক্তব্য, গোটা শহর জুড়ে যত্রতত্র বহুতল আবাসন তৈরি হচ্ছে। প্রোমোটারি রাজ শুরু হয়েছে গোটা শহর জুড়ে। অথচ শহরের নিকাশি ব্যবস্থা নিয়ে উদাসীন ইংরেজবাজার পুরসভা। যার কারণে বৃষ্টির জেরে নাজেহাল অবস্থা ইংরেজবাজার পুরসভার বিভিন্ন এলাকার।
এদিকে মালদা মেডিকেল কলেজের প্রিন্সিপাল ডাক্তার পার্থ প্রতিম মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, সকাল থেকেই মেডিকেল কলেজ চত্বরে জমা জল নিকাশির প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পুরসভা ও প্রশাসনকেও বিষয়টি জানানো হয়েছে।