আচমকা ঝড় বৃষ্টির মধ্যে বাজ পড়ে কালিয়াচক ও মোথাবাড়ি থানার অন্তর্গত দুটি এলাকায় মৃত্যু হল তিনজনের। আহত হয়েছে ১৯ জন । আহতদের মধ্যে একটি স্কুলের প্রায় ১৭ জন ছাত্র-ছাত্রী রয়েছে বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে। অন্যদিকে মালদার ভুতনি থানার দক্ষিণ চণ্ডীপুরে বাজ পড়ে ৯টি গরুর মৃত্যু হয়েছে।
বুধবার দুপুরে প্রথম ঘটনাটি ঘটেছে কালিয়াচক থানার শেরশাহী মারুপুর এলাকায়। পাশাপাশি স্কুলের ছাত্র-ছাত্রী আহতের ঘটনাটি ঘটেছে মোথাবাড়ি থানার বাঙ্গিটোলা এলাকায়। যদিও স্থানীয় পুলিশ ও প্রশাসন সূত্রে একজন মৃত শিশুর নাম পরিচয় জানা গিয়েছে। বাকি দুইজনের নাম এবং পরিচয় জানা যায়নি। পাশাপাশি বাঙ্গিটোলা হাইস্কুলের পড়ুয়াদের মধ্যে চারজনের চিকিৎসা চলছে মালদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে। বাকি ১৩ জন চিকিৎসারত রয়েছে বাঙ্গীটোলা গ্রামীণ হাসপাতালে।
পুলিশ ও প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, বাজ পড়ে মৃত্যু হয়েছে কালিয়াচক থানার শেরশাহী মারুপুর এলাকার এক শিশুর। মৃত শিশুর নাম উম্মে কুলসুম। তার বয়স ছয় বছর। একই এলাকায় বাজ পড়ে আহত হয়েছে শাহনাজ পারভিন (১৩) এবং মহম্মদ ইমরান (২৮)। আহত দুইজনের চিকিৎসা চলছে কালিয়াচকের একটি গ্রামীণ হাসপাতালে।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, বুধবার দুপুরে ঝড়-বৃষ্টির সময় বাগানে আম কুড়াচ্ছিল। সেই সময় আচমকা বাজ পড়াতেই মৃত্যু হয় ছয় বছরের ওই শিশুর। জখম হয় দুইজন।
অন্যদিকে পুলিশ ও প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, মোথাবাড়ি থানার বাঙ্গিটোলা হাইস্কুলে দুপুরে টিফিনের সময় স্কুল প্রাঙ্গনে খেলাধুলো করছিল ছাত্র-ছাত্রীরা। আচমকা ঝড়, বৃষ্টির সময় বাজ পড়লেই সেখানে ১৭ জন পড়ুয়া গুরুতর আহত হয়। তাদের চিকিৎসা চলছে বাঙ্গিটোলা গ্রামীন হাসপাতাল এবং মালদা মেডিক্যাল কলেজে। প্রশাসনের একটি সূত্র থেকে জানা গিয়েছে, মোথাবাড়ি এলাকায় বাজ পড়ে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। তবে তাদের নাম ও পরিচয় জানা যায়নি।
অন্যদিকে, এদিন দুপুরে ঝড়-বৃষ্টির সময় ভুতনি থানার দক্ষিণ চণ্ডীপুর এলাকায় বাজ পড়ে নয়টি গরুর মৃত্যু হয়েছে। এদিন দুপুর দুটো থেকে কালো মেঘে ঢেকে যায় জেলার বিভিন্ন প্রান্ত। এর পরেই শুরু হয় বজ্রপাত-সহ চরম ঝড়-বৃষ্টি। তার মধ্যেই এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে বলে জেলা পুলিশ ও প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে।