দশভুজা মা দুর্গার আদলে তৈরি হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মূর্তি। মমতাময়ী দেবী কোলে তুলে নিয়েছেন ছেলে গণেশকে। গণেশ পুজোয় এই অভিনবত্ব এনে গোটা মালদহ জেলায় শোরগোল ফেলে দিয়েছে হরিশ্চন্দ্রপুরের জাগরণ সংঘ। তবে জাগরণ সংগঘের এই পুজো ঘিরে রাজনৈতিক চাপানউতোর তুঙ্গে উঠেছে।
শুক্রবার ছিল গণেশ চতুর্থী। মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরের জাগরণ সংঘও এবার গণেশ পুজোর আয়োজন করেছে। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এখানে দুর্গার প্রতিরূপ হিসেবে গড়ে তোলা হয়েছে। দেবী মূর্তির কোলে গণেশ বসিয়ে প্রতিমা তৈরিতে অভিনবত্ব আনা হয়েছে। শুধু তাই নয়। দুই হাতে ছেলে গণেশকে ধরে রয়েছেন মা দুর্গা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আদলে তৈরি দেবী-মূর্তির বাকি আট হাতে অস্ত্রের বদলে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের নানা জনকল্যাণমূলক প্রকল্পের নাম। কন্যাশ্রী, স্বাস্থ্যসাথী, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার,সবুজ সাথী-সহ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মস্তিষ্কপ্রসূত একাধিক প্রকল্পের একটি কার্ড ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে দেবীর আট হাতে।
জাগরণ সংঘের মণ্ডপ শয্যা ও প্রতিমা নির্মাণে অভিনবত্ব থাকলেও তা নিয়ে এলাকায় শুরু রাজনৈতিক চাপানউতোর। হরিশ্চন্দ্রপুরের এই এলাকার তৃণমূল নেতা-কর্মী সমর্থকদের দ্বারাই পরিচালিত হয় এই জাগরণ সংঘ। ক্লাব কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, ১০ বছরেরও বেশি সময় ধরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর নানা জনহিতকর কাজের মধ্যে দিয়ে রাজ্যবাসীকে সুবিধা দিচ্ছেন। তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেবী দুর্গার আসনে বসিয়ে তাঁর মূর্তি তৈরি করা হয়েছে। মা দুর্গার কোলে ছেলেকে বসিয়ে চলছে গণেশ বন্দনা। বিষয়টির মধ্যে কোনও বিতর্ক রয়েছে বলে তাঁরা মনে করেন না।
আরও পড়ুন- ভোট পরবর্তী হিংসা মামলা, পঞ্চম চার্জশিট পেশ CBI-এর
তৃণমূলের জেলা সাধারণ সম্পাদক তথা এই ক্লাবের সম্পাদক বুলবুল খান বলেন, 'আমাদের ক্লাবটি মূলত তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের দ্বারাই পরিচালিত। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দেবী দুর্গার মতো পশ্চিমবঙ্গের মানুষের সুখে-দুঃখে পাশে থাকেন। জন-কল্যাণমূলক প্রকল্পের মাধ্যমে রাজ্যবাসীর স্বার্থে কাজ করছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাই ওঁকে সম্মান জানাতেই দেবী দুর্গার আদলে তৈরি হয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মূর্তি।' যদিও এলাকার বিজেপি নেতৃত্ব অবশ্য জাগরণ সংঘের এই অভিনব গণেশ পুজো নিয়ে কটাক্ষ করেছেন। বিজেপি জেলা সম্পাদক কিষান কেডিয়া জানান, দেবী দুর্গার সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর তুলনা করাটা ঠিক হয়নি। এটা হয়তো মুখ্যমন্ত্রীও সমর্থন করবেন না। সাধারণ মানুষ ভালো চোখে দেখছেন না এই ব্যাপারটাকে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন