বর্ষার মরশুম শুরু হতেই পুরাতন মালদা ব্লকের সাহাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের দক্ষিণ ভাটরা এলাকার কয়েক একর জমি পরিণত হয় জলাশয়ে। এই এলাকাই এখন মালদার মানুষের কাছে 'মিনি দিঘা' নামে পরিচিত। কিন্তু এবার বর্ষায় পর্যাপ্ত বৃষ্টির অভাবে সেই মিনি দিঘায় পর্যটকেরা ঘুরতে এসে হতাশ হচ্ছেন। কারণ, বৃষ্টির অভাবে পুরাতন মালদার ভাটরার মিনি দিঘা এখনও জলে ভরেনি। তাতেই মন খারাপ ভ্রমণপিপাসুদের।
Advertisment
বাঙালির বেড়ানোর তালিকায় পছন্দের তালিকায় বরাবরই শীর্ষে থাকে সৈকতনগরী দিঘা। ফাঁক পেলেই ভ্রমনপ্রিয় বাঙালি দিঘায় বেড়াতে যান। পুরাতন মালদার সাহাপুর পঞ্চায়েতের দক্ষিণ ভাটরার বিলও কার্যত বর্ষার মরশুমে মিনি দিঘায় পরিণত হয়। দূর-দূরান্ত থেকে বহু মানুষ এই মিনি দিঘায় ঘুরতে আসেন। বর্ষার মরশুমে কয়েকশো একর বিঘা জমি জলে পরিপূর্ণ হয়ে থাকে। তবে এবার ঘুরতে আসা এই মিনি দিঘায় পর্যটকদের মন খারাপ।
কারণ এবার জেলায় পর্যাপ্ত পরিমাণে বৃষ্টি হয়নি। ফলে এবার আর মিনি দিঘার ঢেউ উপভোগ করতে পারছেন না ভ্রমণপিপাসুরা। তবে তাতেও আনন্দে ভাঁটা পড়েনি। জলে নেমেই পা ভেজাচ্ছেন তাঁরা। ইতিমধ্যেই দক্ষিণ ভাটরার ওই মিনি দিঘা সংলগ্ন এলাকায় রীতিমতো বিভিন্ন দোকান বসেছে।
স্থানীয় এক দোকানদার বলেন, 'প্রতি বছর বর্ষার মরশুমে দক্ষিণ ভাটরার এই বিল কার্যত জলে ভরে যায়। একে সবাই মিনি দিঘা বলেন। কিন্তু এবার বর্ষার মরশুমেও বৃষ্টি নেই। যার ফলে দক্ষিণ ভাটরা বিলে জল এবার তেমন নেই । ফলে ঢেউও নেই। পর্যটকদেরও মন খারাপ তবুও তাঁরা আসছেন।'
মালদার চাঁচল থেকে মেয়ে এবং জামাইকে নিয়ে ঘুরতে এসেছিলেন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক দম্পতি নিরঞ্জন চ্যাটার্জী এবং প্রমিলা চ্যাটার্জী। তাঁরা বলেন, 'গতবছরও এই সময়ে ছুটির দিনে দক্ষিণ ভাটরা গ্রামে এসেছিলাম মিনি দিঘা দেখতে। জলের ঢেউও ভালো ছিল। কিন্তু এবার তেমন জল নেই। দাঁড়িয়ে থেকে মন খারাপ করেই ফিরে যেতে হয়েছে।'
যদিও আবহাওয়া দফতরের মালদার এক আধিকারিক জানিয়েছেন, গত বছরের তুলনায় এবছর এখনও পর্যন্ত ১০ শতাংশ বৃষ্টির ঘাটতি রয়েছে । গত বছর এই মরশুমে ৭৭৩ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছিল। এবারে সেই বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বর্তমানে ৫২০ মিলিমিটার। তবে আগামী চার দিন প্রবল বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তার সঙ্গে বাড়তে পারে আপেক্ষিক আদ্রতার মাত্রা।