দিন কয়েক আগেই দুরন্ত গতির কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস থামিয়ে কয়েকশো যাত্রীর প্রাণ বাঁচিয়েছিল মালদার হরিশ্চন্দ্রপুরের পঞ্চম শ্রেণির পড়ুয়া মহম্মদ মোরসেলিম। রেল লাইনে গর্ত দেখে পরনের লাল গেঞ্জি খুলে ট্রেন থামিয়েছিল মোরসেলিম। এবার খুদে পড়ুয়ার নজিরবিহীন কীর্তিকে কুর্ণিশ জানিয়ে রেলের তরফে যা পুরস্কার দেওয়া হল তা দেখে বালকের হতদরিদ্র পরিবার হতাশ। বরং এমন বিরাট দুর্ঘটনা রুখে দিলেও মোরসেলিমের কৃতিত্বের ন্যায্য প্রতিদান রেল দিতে পারেনি বলেই মত কারও কারও।
ছোট্ট মোরসেলিমকে কী পুরস্কার দিল রেল?
মোরসেলিমের নজিরবিহীন কীর্তির কথা জানার পরেই তাকে পুরস্কৃত করার ব্যাপারে তোড়জোড় শুরু হয়। মোরসেলিমের পরিবারের দাবি, রেলের তরফে মোরসেলিমের সাহসিকতার পুরস্কার স্বরূপ একটি সার্টিফিকেট-মেডেল এবং দেড় হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে। মোরসেলিমের পরিবারটি আর্থিকভাবে যথেষ্ট দুর্বল। তাই রেলের এই 'পুরস্কার' তাঁদের খুশি করতে পারেনি। মোরসেলিমের পরিবারের পাশে দাঁড়াতে রেলের আরও কিছু করণীয় ছিল বলে মনে করেন অনেকে।
কী করেছিল পঞ্চম শ্রেণির মোরসেলিম?
গত শুক্রবার দুপুরে বাড়ি ফেরার সময় ভালুকা রোড স্টেশন থেকে সামান্য দূরে রেল লাইনের নীচে বড় একটি গর্ত দেখতে পেয়েছিল সে। ঠিক সেই সময়েই দূরে একটি ট্রেন আসতে দেখতে পেয়ে তড়িঘড়ি নিজের গায়ের লাল গেঞ্জি খুলে সে ওড়াতে থাকে মোরসেলিম। লাল গেঞ্জি ওড়ানো দেখে ট্রেনটি দূরে থামিয়ে দেন চালক। এভাবেই সেদিন শিয়ালদহ থেকে শিলচরগামী আপ কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের কয়েকশো যাত্রীর প্রাণ বেঁচে যায়।
আরও পড়ুন- বিজেপির ডাকাবুকো সাংসদের নামে ‘চোর’ লেখা পোস্টার, অস্বস্তি ঢাকতেই নিশানায় তৃণমূল?
মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরের কড়িয়ালী বারিনওয়ার মিশন বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণিতে পড়াশোনা করে মোরসেলিম মহম্মদ নামে ওই বালক। তার পরিবারটি আর্থিকভাবে বেশ দুর্বল। বাড়িতে তার বাবা-মা, ভাই-বোন রয়েছে। তাই ছেলের এমন কীর্তিতে রেল তাঁদের পাশে দাঁড়াবে বলেই ভেবেছিলেন মোরসেলিমের বাড়ির লোকজন। তবে রেলের এমন সামান্য সাড়ায় মন ভেঙেছে তাঁদের।
আরও পড়ুন- সব ক্লাসের একজনই শিক্ষক, ‘আজব’ স্কুলে শিক্ষা নিয়ে ‘ছিনিমিনি’ সরকারের!