Mamata Banerjee-Abhishek Banerjee: লোকসভা ভোট চলাকালীন (Lok Sabha Election 2024) সময়ে সন্দেশখালি (Sandeshkhali) থেকে বিদেশি অস্ত্র ভাণ্ডারের হদিশ উদ্ধার নিয়ে উত্তাল রাজ্য রাজনীতি।এই ঘটনা নিয়ে চক্রান্তের তত্ত্ব খাড়া করে শনিবার আসানসোলের (Asansol) কুলটির জনসভা থেকে স্বোচ্চার হন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যপোধায় (Mamata Banerjee)।
কিন্তু সন্দেশখালিতে অস্ত্র ভাণ্ডারের হদিশ উদ্ধার নিয়ে কার্যতই শনিবার মুখে কুলুপ এঁটেছিলেন তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমাণ্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। শনিবার বীরভূম ও পূর্ব বর্ধমান, এই দুই জেলার কোনও জনসভা থেকেই অভিষেক একটি কথাও বলেননি। সন্দেশখালি থেকে অস্ত্র ভাণ্ডারের হদিশ উদ্ধার নিয়ে একই দলের দুই শীর্ষ নেতা-নেত্রী কেন এমন দু’রকম ভূমিকা নিয়ে চলছেন সেই প্রশ্নই এখন বড় হয়ে দেখা দিয়েছে।
সন্দেশখালির দোর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল কংগ্রেস নেতা শেখ শাহজাহান (Sheikh Shahjahan) পুলিশের হাতে গ্রেফতার হওয়ার পর এখন জেলে বন্দি রয়েছেন। CBI ও ED এখন তাঁর যাবতীয় কাজের তদন্ত চালাচ্ছে। এরই মধ্যে গত শুক্রবার শাহজাহান ঘনিষ্ঠ সন্দেশখালির এক তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে প্রচুর আগ্নেআস্ত্র ও বিস্ফোরকের সন্ধান পায় CBI। তার মধ্যে বিদেশি আগ্নেআস্ত্রও ছিল।
আরও পড়ুন- Srijan Bhattacharya: বামেরা ফিরলেই লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে ২ হাজার? ভোট আবহে জোর চর্চায় সৃজন-উবাচ!
সেই সব বিস্ফোরক ও আগ্নেআস্ত্র উদ্ধারের জন্য CBI ওই দিন এনএসজি (NSG) কমান্ডো ও বিশেষ প্রযুক্তি সম্পন্ন রোবটকেও কাজে লাগায়। দ্বিতীয় দফার লোকসভা ভোট চলার দিনেই বিস্ফোরক ও আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় তোলপাড় পড়ে যায়।
এদিকে, সন্দেশখালিতে অস্ত্র উদ্ধার নিয়ে রাজ্যের শাসকদলকে বিঁধে আসরে নেমে পড়ে BJP। বর্ধমান
-দুর্গাপুর লোকসভা আসনের BJP প্রার্থী দিলীপ ঘোষ থেকে শুরু করে বিজেপির তারকা নেতা মিঠুন চক্রবর্তী-সহ বিরোধী অনেক নেতাইসন্দেশখালি থেকে অস্ত্র ভাণ্ডারের হদিশ উদ্ধার নিয়ে তৃণমূলকে তুলোধনা করা শুরু করে দেন।
পূর্ব বর্ধমানের সাতগেছিয়ায় রোড শোয়ে যোগ দিয়ে মিঠুন চক্রবর্তী বলেন, “পশ্চিমবঙ্গের সব জায়গাতে এভাবেই সার্চ করা উচিত।” একই কর্মসূচি থেকে আরও একধাপ সুর চড়িয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, “শেখ শাহজাহান সিপিএম আমলে পিস্তুল নিয়ে ঘুরতো আর এখন AK-47 নিয়ে ঘোরে। সন্দেশখালিতে এত অস্ত্রশস্ত্র বোমা, বন্দুক লুকানো আছে ,ওকে (শাহজাহান) ঠেঙালে সব বের হবে। ওই সব অস্ত্রশস্ত্র আগে উদ্ধার করতেই হবে না হলে ভোটে অনেক জীবনহানি হবে।"
আরও পড়ুন- Premium: আয়-সম্পত্তিতে দাপুটে এই TMC প্রার্থীকে ঘোল খাওয়াবেন তাঁর স্ত্রী! তাঁদের পরিচয় জানেন?
এদিকে, বিজেপি নেতাদের এই সব মন্তব্যের বিরোধিতা করে আসানসোলে শত্রুঘ্ন সিনহার সমর্থনে হওয়া জনসভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সন্দেশখালিতে অস্ত্র ভাণ্ডারের হদিশ উদ্ধারের দাবি নিয়ে সরব হন। তিনি বলেন, “এখানে (বাংলায়) চকোলেট বোমা ফাটলেও সিবিআই, এনআইএ, এনএসজি নেমে পড়ে । যেন কোনও যুদ্ধ হচ্ছে। সব একতরফা, রাজ্য পুলিশকে জানায়নি কিছু। কোথা থেকে পাওয়া গিয়েছে, কী পাওয়া গিয়েছে, হতে পারে নিজেরাই গাড়িতে ভরে এনে দেখিয়েছেন। কোনো প্রমাণ নেই যে ওখান থেকেই উদ্ধার হয়েছে।"
একই দিনে বীরভূম ও পূর্ব বর্ধমানের জামালপুরে জনগর্জন সভায় যোগ দিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কিন্তু সন্দেশখালিতে অস্ত্রভাণ্ডারের হদিশ উদ্ধারের ঘটনা নিয়ে একটিও কথা বলেননি। বরং তিনি, রাজ্য সরকারের উন্নয়নের খতিয়ান ও লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের উপকারিকার কথা তুলে ধরে কেন্দ্রর সরকার ও বিজেপিকে তুলোধনা করেন।