ইউক্রেন থেকে দেশে ফিরছে পড়ুয়ারা। তার মধ্যে বেশ কয়েকজন পশ্চিমবঙ্গের পড়ুয়া আছেন। যাঁরা ডাক্তারি পড়তে ইউক্রেনের বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজে গিয়েছিলেন। এমনটাই জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এনিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি টুইট করেছেন। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, 'আর কিছুক্ষণের মধ্যে ওই পড়ুয়ারা দিল্লি এবং মুম্বইয়ে পৌঁছবে। আমাদের সরকার ওই পড়ুয়াদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে। ওই পড়ুয়ারা যাতে বাড়িতে নিরাপদে বাড়িতে ফিরতে পারে, সেই ব্যবস্থা করছে। তাদের বিনামূল্যে বিমানের টিকিট দিয়েছে। পাশাপাশি, বিমানবন্দর থেকে তাদের বাড়িতে পৌছে দেওয়ারও ব্যবস্থা করা হবে।'
বৃহস্পতিবার থেকে ওই পড়ুয়ারা যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনে আটকে ছিলেন। অনেকে টিকিট পেলেও বিমান চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ফিরতে পারেনি। ভারত সরকার বারবার বিমান পাঠানোর চেষ্টা করেছিল। কিন্তু, যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনের মাটিতে সেই নামানোর ভরসা পায়নি কেউই। বাধ্য হয়েই ইউক্রেনের প্রতিবেশী পোল্যান্ড এবং রোমানিয়ায় বিমান নামানো হয়। ভারতীয় দূতাবাসের মাধ্যমে ওই পড়ুয়াদের কাছে খবর পৌঁছে দেওয়া হয়। জানানো হয়, তাদের শনিবার দেশে ফেরানো হবে। সেই মতো বেশ কিছু পড়ুয়াকে শনিবার দেশে ফেরানো হচ্ছে।
তবে, এখনও অনেক পড়ুয়াই ইউক্রেনে আটকে আছেন। পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ায় তাঁদের খাবার এবং পানীয় জলেরও সংকট দেখা দিয়েছে। যুদ্ধপরিস্থিতিতে ফোনলাইনও ঠিকমতো কাজ করছে না। এই সব পড়ুয়াদের কথা মাথায় রেখে ইতিমধ্যেই কন্ট্রোল রুম খুলেছে নবান্ন। সেই কন্ট্রোল রুমের মাধ্যমে ওই পড়ুয়াদের পরিবারের সদস্যরা নবান্নের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। তাঁদের সেই বক্তব্য, কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে পৌঁছে দিচ্ছেন নবান্নের কর্তারা। সকাল ৯টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত জরুরি ভিত্তিতে ওই কন্ট্রোল রুম চালু রাখা হয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে ইউক্রেনের মাটিতে আটকে থাকা পড়ুয়াদের অবিলম্বে দেশে ফেরানোর দাবিও তুলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। এই দাবিতে শনিবারই কলকাতার রাস্তায় মিছিলও করেছিলেন তৃণমূল নেতৃত্ব। তার মধ্যেই পড়ুয়াদের একাংশ নিরাপদে ফিরে আসতে পারছে। এতে কিছুটা হলেও স্বস্তির নিশ্বাস ফেলছে রাজ্য প্রশাসন। সেকথাই টুইটে বোঝাতে চেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।