Mamata Banerjee attacks on Modi's meditation plans: কাকদ্বীপের মঞ্চ থেকে হাইকোর্টের রায়কে নিশানা করে মমতাকে আক্রমণ করে মোদী বিস্ফোরক অভিযোগ আনেন। তিনি বলেন, 'ওবিসি সংরক্ষণ কেড়ে মুসলিমদের দিয়ে দেওয়া হচ্ছে'। পাশাপাশি এদিনের সভা থেকে বিরোধী ইন্ডিয়া জোটকে 'ইন্ডি-জামাত' বলেও কটাক্ষ করেছেন মোদী। এবার তা নিয়ে সরব হয়েছেন কংগ্রেস নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী। তিনি বলেছেন, 'নির্বাচনের শেষ লগ্নেও সাম্প্রদায়িক বিভাজনই মোদীর লক্ষ্য। এসব কথা বলে ভোট বিভাজনই মোদীর টার্গেট। পাশাপাশি বারুইপুরের সভা থেক মমতা ফের সংরক্ষণ ইস্যুতে তার সিদ্ধান্তে অনড় থেকে বিচার বিভাগকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, 'সংরক্ষণ যেমন চলছিল তেমনই চলবে'।
লোকসভা নির্বাচনের প্রচারপর্ব শেষ হতেই ধ্যানমগ্ন হতে চলেছেন মোদী। ২০১৯ সালে কেদারনাথে গিয়েছিলেন এবং ২০১৪ সালে গিয়েছিলেন প্রতাপগড়ে। এবারও, লোকসভা নির্বাচনের প্রচারের পর, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর গন্তব্য কন্যাকুমারী। যেখানে তিনি ৩০ মে থেকে ১ জুন পর্যন্ত থাকবেন। সেখানেই বিবেকানন্দ রকে ধ্যানমগ্ন হবেন মোদী। ১ জুন বিকেল সাড়ে তিনটেয় কন্যাকুমারী থেকে ফিরবেন মোদী। এদিকে মোদীর এই ধ্যানকে খোঁচা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন- < Suvendu Adhikari On Saokat Molla: বাংলা কাঁপিয়ে হুঙ্কার শুভেন্দুর, মমতা ঘনিষ্ঠকে চুলের মুঠি ধরে গারদে ভরার নিদান >
মমতা বারুইপুরে এক নির্বাচনী সমাবেশ থেকে বলেন, ‘‘মানুষ কী ক্যামেরাকে সামনে রেখে পুজো করেন? উনি সমুদ্রের হাওয়া খেতে খেতে প্রচার চালাবেন। নির্বাচনের পরে এ ভাবে প্রচার করতে পারেন না। নির্বাচন কমিশনে আমরা অভিযোগ জানাব। মোদী ধ্যান করতেই পারেন, কিন্তু সংবাদমাধ্যম তা দেখাতে পারে না। কারণ তা নির্বাচনী বিধিকে ভঙ্গ করে। তিনি আরও বলেছেন, উনি তো ঈশ্বরের দূত! তাই যদি হয়, লোকে ওনার ধ্যান করবে। ওনার তো ধ্যান করার প্রয়োজন নেই।”
এদিকে মোদীর এই কর্মসূচী ঘিরে পর্যটকদের সপ্তাহান্তে তাঁদের পরিকল্পনা বাতিল করতে বলা হয়েছে । আশেপাশে দোকান-পাট বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে প্রশাসনের তরফে। কোস্টগার্ডের টহল ছাড়াও উপকূল রক্ষী জাহাজের সঙ্গে প্রায় ১ হাজার পুলিশ কর্মী মোতায়েন থাকবে মোদীর নিরাপত্তায়। ১০ জন এসপিজি কমান্ডোদের একটি দল নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখতে সোমবার কন্যাকুমারী পৌঁছেছেন।