ক্রান্তির সভা সেরে মঙ্গলবার দুপুরেই উড়ানে কলকাতায় ফেরার কথা ছিল মুখ্যমন্ত্রীর। পূর্ব নির্ধারিত সূচি মেনেই জলপাইগুড়ি থেকে বাগডোগরা বিমানবন্দরে ফেরার জন্য ওড়ে মুখ্যমন্ত্রীর হেলিকপ্টার। কিন্তু, মাঝ আকাশে প্রাকৃতিক দুর্যোগের মধ্যে পড়ে কপ্টারটি। ফলে মুখ্যমন্ত্রীর ওই কপ্টারটিকে জরুরি অবতরণ করানো হয় সেবক এয়ার বেসে। বড় দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর বেশ কিছুক্ষণ সেবক এয়ার বেসেই নিরাপদে ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী সহ বাকিরা। পরে সড়ক পথে বাগডোগরা পৌঁছন মুখ্যমন্ত্রী। সন্ধ্যার মধ্যেই পৌঁছে যাবেন কলকাতায়। সূত্রের খবর, এদিনের ঘটনায় কোমরে ও পায়ে চোট পেয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ব্যথা অনুভব করছেন তিনি।
মুখ্যমন্ত্রী আসার আগে কলকাতা বিমানবন্দর চত্বরে টার্মিনালের ভিতরে একটি অ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত রাখা হয়েছে। প্রয়োজনে সেই অ্যাম্বুলেন্সে করেই মুখ্যমন্ত্রীকে বিমানবন্দর থেকে এসএসকেএমে নিয়ে যাওয়া হতে পারে। তৈরি রয়েছে গ্রিন করিডর। এসএসকেএম হাসপাতাল চত্বরেও প্রয়োজনীয় পুলিশি নিরাপত্তারও রাখা হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রীর কপ্টার দুর্যোগের পরেই তাঁর স্বাস্থের খোঁজ নিয়েছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। রাজ্যপাল নিজেও এখন উত্তরবঙ্গে রয়েছেন। টুইটারে মুখ্যমন্ত্রীর শারীরিক অবস্থার বিষয়ে খোঁজ নেওয়ার কথা নিজেই জানিয়েছেন রাজ্যপাল। মুখ্যমন্ত্রীর হেলিকপ্টার নিরাপদে অবতরণ করায় তিনি স্বস্তি পেয়েছেন বলেও জানিয়েছেন।
এদিন দুপুরে জলপাইগুড়ির ক্রান্তিতে পঞ্চায়েতের প্রচার সভা করেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখান থেকেই বাগডোগরা হয়ে উড়ানে কলকাতায় ফেরার কথা ছিল তাঁর। সাধারণত ক্রান্তি থেকে বাগডোগরা কপ্টারে যেতে সময় লাগে ১১ মিনিট। ওড়ার কিছু ক্ষণের মধ্যেই দুর্যোগের মুখে পড়ে কপ্টার। বৈকণ্ঠপুর জঙ্গলের কাছে মাঝ আকাশে প্রবল দুর্যোগের কবলে পড়ে মমতার কপ্টার। তখনই বিপদ বুঝে পাইলট সেবক এয়ার বেসের দিকে কপ্টারটি ঘুরিয়ে দেন। সেবক এয়ার বেসেই কপ্টারটিকে জরুরি অবতরণ করা হয়।
এর আগে গত বছর উত্তরপ্রদেশ থেকে ফেরার সময়ে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার মুখে পড়েছিল মুখ্যমন্ত্রীর উড়ান। প্রবল ঝাঁকুনি হয়ে হঠাৎ অনেকটা নেমে এসেছিল উড়ানটি।