করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার পর চার দিনে দ'বার ওড়িশায় গেলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। গত শনিবার বালেশ্বরে দুর্ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যান হাসপাতালেও। আজ, মঙ্গলবারও মুখ্যমন্ত্রী কটকে হাসপাতালে গেলেন। রেল দুর্ঘটনায় কটকের হাসপাতালে ভর্তি এ রাজ্যের আহতদের সঙ্গে দেখা করেন মমতা।
পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'এটা মানুষের পাশে দাঁড়ানোর সময়। এটা বিতর্কের সময় নয়। আমি চাই সত্য যেন উদঘাটিত হোক। আসল তথ্য যেন ধামাচাপা দেওয়া না হয়।' দুর্ঘটনার আসল কারণ কী, কে বা কারা দোষী তা নির্ধারণে এর আগে একই কথা বলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, বালেশ্বর রেল দুর্ঘটনায় আহত ৯৭ জন এখনও ওড়িশ্যায় চিকিৎসাধীন। ১০৩ জনের দেহ শনাক্ত করা গেলেও ৩১ জনকে এখনও শনাক্ত করা যাইনি। ভয়াবহ দুর্ঘটনার পর মানুষের চিকিৎসা সহ অন্যান্য পরিষেবার জন্য ওড়িশা সরকার ও চিকিৎসক, নার্সদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলা ও ওড়িশ্যা সরকার একযোগে কাজ এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে বলেও দাবি মুখ্যমন্ত্রীর।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এদিনের মন্তব্য প্রসঙ্গে রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেছেন, 'সত্য প্রতারিত হতে পারে, কিন্তু ধামাচাপা দেওয়া যায় না। তৃণমূল দুর্ঘটনার পর থেকে যেভাবে রাজনীতি করেছেন তা নক্কারজনক। যেভাবে প্রধানমন্ত্রী, রেলমন্ত্রী দুর্ঘটনার পর থেকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে পদক্ষেপ করে চলেছেন, সিবিআই তদন্তও করতে বলা হয়েছে, ফলে এরপর ওনার আর কিছু বলার নেই।'
অন্যদিকে এদিনই ভুবনেশ্বর এইমসে গিয়েছেন বাংলার দুই মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য ও শশী পাঁজা। হাসপাতালে ভর্তি আহতদের সঙ্গে কথা বলে মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, 'দুই রাজ্যের প্রশাসনই চিকিৎসা, দেহ ফেরানো, দেহ শনাক্তকরণ, আহদতদের চিকিৎসায় সমন্বয় করে কাজ করছেন। মানুষের যাতে কোনও অসুবিধা না হয় সেটা দেখতেই এখানে এসেছি।'