Yogeshree project West Bengal: তৃণমূল সরকারের আমলে মেধাবীদের কাছে উচ্চশিক্ষা হাতের নাগালে। যা বোঝাতে গিয়ে নিজের কলেজ জীবনের স্মৃতিচারণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী। সোমবার ধনধান্য প্রেক্ষাগৃহে যোগ্যশ্রী প্রকল্পের সূচনা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই অুষ্ঠানেই রাজ্য সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের বিষয়ে বলতে গিয়ে নিজের ছাত্রাবস্থার কথা বলেন তিনি। দাবি করেন, 'আমার মনে আছে, আমি যখন কলেজে ভর্তি হই, বাবা মারা গিয়েছেন, আমার গলায় একটি মটরমালার হার ছিল। সেটা বিক্রি করে আমি কলেজে ভর্তি হয়েছিলাম।'
এদিন মমতা দাবি করেছেন, এখনও পর্যন্ত ৮৬ লক্ষেরও বেশি মেয়েরা কন্যাশ্রী পাচ্ছেন। নবম শ্রেণীতে সকলকে সাইকেল দেওয়া হচ্ছে। আগে শুধুমাত্র মেয়েদের সাইকেল দেওয়া হত। ১ কোটি ১৫ লক্ষ ছেলেমেয়ে সবুজ সাথীর সাইকেল পেয়েছে। উৎকর্ষ বাংলা তৈরি করবে রাজ্য সরকার। স্কিলড্ ট্রেনিং প্রোগ্রামে বাংলা এখন দেশের মধ্যে এক নম্বরে। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, 'একবার ঝাড়গ্রাম যাচ্ছিলাম। একটি বাচ্চা ছেলে আমার গাড়ির সামনে এসে দাঁড়াল। ও বলল, সবুজ সাথীর সাইকেল শুধু মেয়েরাই পাবে? ছেলেরা পাবে না? আমি ভাবলাম ঠিকই তো। ছেলে-মেয়ের ভেদাভেদ করা উচিত নয়। তাই জাতপাত, ধর্ম নির্বিশেষে সকলের জন্য সবুজ সাথী সাইকেল দেওয়া হয়। এখনও পর্যন্ত ১ কোটি ১৫ লক্ষ সবুজ সাথী সাইকেল দেওয়া হয়েছে।'
আরও পড়ুন- রবীন্দ্রনাথ, সত্যজিৎ রায়েরাও মজেছেন সাধের এই পদে! বাংলার এই খাদ্যের নেপথ্যে স্বর্ণালী ইতিহাস!
যোগ্যশ্রী প্রকল্প
তফশিলি জাতি-উপজাতিদের জন্য ইঞ্জিনিয়ারিং, ডাক্তারি বিনামূল্যে প্রশিক্ষণের ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, এই প্রকল্পের নাম দিলাম যোগ্যশ্রী। জেলায় জেলায় ৫০টি সেন্টার চালু করা হচ্ছে। চাকরির জন্য জেলায় ২টি করে মোট ৪৬টি সেন্টার করা হচ্ছে। প্রতিটি জেলায় ডিএম, এসপিরা উদ্যোগী হয়ে এই কাজ করছেন।
আরও পড়ুন- হুড়মুড়িয়ে নামবে পারদ! জমাটি ঠান্ডায় কাঁপবে বাংলা, আবহাওয়ায় বিরাট এই বদল কবে থেকে?
স্বামী বিবেকানন্দ মেরিট স্কলারশিপ
আর্থিকভাবে দুর্বল জেনারেল কাস্টের পড়ুয়ারা কিছু পায় না। স্বামী বিবেকানন্দ মেরিট স্কলারশিপে আগে এটি ৭৫% নম্বর পেতে হত। একবার এক মা আমাকে বলল, আমার মেয়ে পাশ করেছে। টাকার অভাবে পড়াতে পারছি না। ও কি বিবেকানন্দ স্কলারশিপ পাবে? আমি জিজ্ঞেস করলাম তোমার মেয়ে কত নম্বর পেয়েছে। বললেন ৬০%। তখনই আমি বললাম স্কলারশিপের জন্য নূন্যতম নম্বর ৬০% কর। এখন অনেকেই ফার্স্ট ডিভিশন পায়। আমাদের সময়ে সেকেন্ড ডিভিশনেই পাশ করলে অনেক বেশি মনে করা হত।
স্টুডেন্ট ইন্টার্নশিপ স্কিম
স্টুডেন্ট ইন্টার্নশিপ স্কিম নামে এক নতুন প্রকল্পের ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানান, এই স্কিমে ছেলে মেয়েরা অল্প বয়স থেকেই সরকারি কাজে প্রশিক্ষণ পাবেন। ১ বছরের জন্য আড়াই হাজার কলেজ পড়ুয়াদের ইন্টার্নশিপ দেওয়া হবে। তাঁরা ভাল কাজ করলে তাঁদের যোগ্যতার বিচার করে চাকরিটা রিনিউ করা যেতে পারে। ইন্টার্নশিপে তাঁরা মাসে ১০ হাজার টাকা করে বেতনও পাবে।