সোমবার কোচবহারের নির্বাচনী প্রচারসভা থেকে বিএসএফ-এর বিরুদ্ধে ভয়ঙ্কর অভিযোগ তুলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। ভোটের সময় বিএসএফ ভয় দেখাতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একুশের ভোটে শীতলকুচি কাণ্ডের উদাহরণ টেনে প্রশানের প্রতি তাঁর বার্তা ছিল যে, বিএসএফ গুলি করলে যেন তাদের গ্রেফতার করা হয়। এরপর মুখ্যমন্ত্রী দাবির পাল্টা বিবৃতি জারি করে বিএসএফ-ও। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্যের তথ্য সঠিক নয় বলে দাবি সীমান্ত সুরক্ষা বাহিনীর। কিন্তু এসবে আমল দিচ্ছেন না বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। উল্টে মঙ্গলবার জলপাইগুড়ির ক্রান্তির সভা থেকে ফের বিএসএফ-কেই নিশানা করলেন মমতা। বললেন, 'মোদী সরকার আজ আছে, কাল নেই, কিন্তু আপনারা (বিএসএফ-এ কর্মরতরা) নিরপেক্ষাভাবে কাজ করুন।'
এদিন দিনহাটায় তৃণমূল কর্মীর বাবু হক দুষ্কৃতীদের গুলিতে নিহত হয়েছেন। উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী উদয়ন গুহর দাবি, বাংলাদেশ থেকে দুষ্কৃতীদের নিয়ে এসে এই খুন করিয়েছে বিজেপি। একই সুর মমতার মুখেও। দিনহাটার ঘটনার 'অ্যাকশন হবে' বলে ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। আর এই প্রসঙ্গেই তিনি নিশানা করেছেন বিএসএফ-কে।
ক্রান্তি এলাকায় পঞ্চায়েত ভোট প্রচারে মুখ্যমন্ত্রী বিএসএফ-কে উদ্দেশ্য করে বলেছেন, 'মোদী সরকার আজ আছে, কাল নেই, কিন্তু আপনারা নিরপেক্ষাভাবে কাজ করুন। আপনারা দেশের সুরক্ষার কাজে নিয়োজিত। তাই বিএসএফ-কে মানুষের পাশে থেকে কাজ করতে হবে।'
বিবৃতিতে কী জানিয়েছিল বিএসএফ?
বিএসএফ ভোট প্রভাব বিস্কার করার চেষ্টা করতে পারে। সোমবার মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্যের পর রাতে বিবৃতি জারি করে তা নস্যাৎ করে বিএসএফ। বিবৃতিতে বলা হয়, আন্তর্জাতিক সীমান্তে সুরক্ষা দেওয়াই বিএসএফ-এর প্রধান দায়িত্ব। ভোটারদের প্রভাবিত বা ভয় দেখানো হয় নয়। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে অপরাধ দমনের জন্যই বিএসএফ-কে মোতায়েন করা হয়েছে। সাধারণ মানুষকে সুরক্ষা দেওয়াই বাহিনীর মূল কাজ। সীমান্তে পাচার বন্ধ করাও বিএসএফের অন্যতম কাজ।
আরও পড়ুন- জেলে বসেই ‘কালীঘাটের কাকু’ পেলেন চরম দুঃসংবাদ, সুজয়কৃষ্ণ হারালেন একান্ত আপনজন-কে
বিবৃতিতে দাবি, বিএসএফ জওয়ানরা ভোট প্রভাবিত করছেন, সীমান্তবর্তী গ্রামের মানুষেরা এখনও পর্যন্ত এমন কোনও অভিযোগ করেনি। সুষ্ঠ নির্বাচন করানোই বিএসএফ-এর দায়িত্ব। ভোটের সময় বিএসএফ রাজ্য প্রশাসনের তত্ত্বাবধানেই কাজ করে।