পায়ের ক্ষত সারাতে কয়েক সপ্তাহ বাড়িতেই ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এমনকী পুজোর উদ্বোধনেও তাঁকে মণ্ডপে মণ্ডপে যেতে দেখা যায়নি। করেছিলেন ভার্চুয়াল উদ্বোধন। মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসার পর এ ধরণের ঘটনা নজিরবিহীন। সেই সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শারীরিক অবস্থা নিয়ে দলের নেতা, কর্মীদের উদ্বেগ প্রকাশ করতেও দেখা যায়। ঠিক কী হয়েছিল? বুধবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক থেকে তা জানিয়েছেন মমতা।
শারীরিক অসুস্থতা কাটিয়ে মঙ্গলবারই মুখ্যমন্ত্রী নবান্নে গিয়েছিলেন। আর বুধবারই নিজের শারীরিক অবস্থা নিয়ে বিস্ফোরক দাবি করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বললেন, 'আমার ইনফেকশনটা সেপটিক টাইপের হয়ে গিয়েছিল ভুল চিকিৎসার জন্য। ফলে হাতে স্যালাইনের চ্যানেলের মতো করে চ্যানেল লাগানো হয়েছিল। সাতদিন চ্যানেল করা হয়েছিল। সেই অবস্থায় বিছানা থেকে উঠতে পারিনি।'
এসএসকেএমকে ভারতের শ্রেষ্ঠ হাসপাতাল বলে প্রায়ই দাবি করেন মুখ্যমন্ত্রী। পায়ের চোট সারাতে আগাগোড়াই এসএসলকেএমের চিকিৎসকরা মুখ্যমন্ত্রীর চিকিৎসা করছেন। কিন্তু, সেই হাসপাতালেই নিজের 'ভুল চিকিৎসা'র কথা বলে শোরগোল ফেলে দিয়েছেন মমতা। এরপরই স্বাস্থ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগ দাবি করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বলেন, 'বলে না কি এসেবারে সুপার সুপার হসপিটাল। তার হাল নিজেই বলে দিলেন।'
উত্তরবঙ্গে হেলিকপ্টার বিভ্রাটে পায়ের মুখ্যমন্ত্রীর পায়ে যেখানে চোট লেগেছিল, সেই জায়গাতেই আবার তাঁর পা হড়কে গিয়ে চোট লাগে স্পেন সফরে। সেই নিয়েই টানা বিভিন্ন কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার পর কলকাতায় ফিরে সোজা তিনি গিয়েছিলেন এসএসকেএম হাসপাতালে। চিকিৎসকরা তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পরামর্শ দিলেও, মুখ্যমন্ত্রী চেয়েছিলেন বাড়িতে থেকেই চিকিৎসা করাতে। সেই মতো বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের তত্ত্বাবধানে বাড়িতেই চিকিৎসা চলছিল তাঁর। পায়ের সমস্যার জন্য চিকিৎসকদের পরামর্শ মত অনেকদিন বাড়িতে থাকতে হয় তাঁকে। বাড়িতে বসেই প্রশাসনিক ও দলীয় সব কাজকর্ম চালিয়ে যাচ্ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী।
আরও পড়ুন- ‘এবার কাগজপত্র বার করছি’ বেনজির হুঙ্কার মমতার, পাল্টা ফোঁস শুভেন্দুর