জমি বিতর্কের মধ্যেই সোমবার নোবেলজয়ী অর্থনীতীবিদ অমর্ত্য সেনের বাড়ি 'প্রতীচী'তে যান মুখ্যমন্ত্রী। সেখানেই বিশ্বভারতীয় জমি সংক্রান্ত সব দাবি নস্যাৎ করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অমর্ত্য সেনের হাতে রাজ্য সরকারের ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দফতরের রেকর্ডও তুলে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি হুঁশিয়ারি দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'আমি এর শেষ দেখে ছাড়ব। ওদের বিরুদ্ধে আইনত কী করা হবে সেটা এখন বলছি না। ফিরে গিয়ে যা করার করব।'
Advertisment
নোবেলজয়ীর নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে এখন থেকে অমর্ত্য সেনকে জেড প্লাস নিরাপত্তা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
'প্রতীচী'তে গিয়ে এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'অমর্ত্য সেনকে যেভাবে অপমান করছে তাতে আমার খুব গায়ে লাগছে। মাছির মতো ভ্যান ভ্যান করে গৈরীকিকরণ করে অপমান করার অধিকার কারোর নেই। আমি এর শেষ দেখে ছাড়ব' এরপরই মুখ্যমন্ত্রী নোবেলজয়ীর হাতে তাঁর বাড়ির জমি সংক্রান্ত সব নথি তুলে দেন। রাজ্য সরকারে ভূমি দফতর থেকে ওই নথি তিনি সংগ্রেহ করিয়েছেন বলেও জানান। অমর্ত্যবাবুর হাতে যে কাগজ তুলে দেওয়া হয়েছে তাতে জেলাশাসকের সিলমোহর দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
পরে মমতা বলেন, 'অমর্ত্যদাকে বিজেপি যেন অপমানের চেষ্টা না করে। আর বিজেপির গৈরীকিধারী লোকরাও যেন এসব না করেন। ওকেবিজেপি সম্মানের চেষ্টা তো করেননি, উপরোন্তু ১৩ ডেসিবেল জায়গার জন্য অপমান করে যাচ্ছেন।'
মুখ্যমন্ত্রীর জানান, বিশ্বভারতীকে কে জমিয়ে দিয়েছিল রাজ্য সরকার। বলেন, 'ও (বিশ্বভারতী) জমি পেয়েছে বিনা পয়সায়, আবার খবরদার করছে। কেন মিথ্যা বলবে?' অমর্ত্য সেনকে মুখ্যমন্ত্রীর বার্তা, 'ওরা আপনার সম্পর্কে যা বলছে তা বাংলার মানুষ মোটেও ভালভাবে নিচ্ছে না। আপনি কখনও ওদের কথায় মানসিকভাবে ভেঙে পড়বেন না।'
পরে নোবেলজয়ীর বাড়ির বাইরে সাংবাদিকদের কাছে মোদী সরকারকে নিশানা করেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, 'কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রককে বলব এই যথেচ্ছাচার বন্ধ হোক। শুধু বিজেপি করলেই সাত খুন মাফ, এটা চলতে পারে না। সমালোচনায় আমার কিছু যায় আসে না।'