বর্ষীয়ান নেতা, দলের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে বহিষ্কারের দিনই নোবেলজয়ী কৈলাস সত্যার্থীর থেকে দরাজ সার্টিফিকেট পেল রাজ্য সরকার। নিজে নবান্নে এসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখাও করে গেলেন কৈলাস। হাতে ছিল হলুদ গোলাপের তোড়া। তাই দিয়েই শুভেচ্ছা জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।
শিশুদের নিয়ে দীর্ঘদিন কাজ করছেন এই নোবেল শান্তি পুরস্কারজয়ী। তাঁর সংগঠন 'বচপন বাঁচাও' আজ এক আন্দোলনে পরিণত হয়েছে। দেশজুড়ে কাজ করে এই সংগঠন। পেয়েছে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিও। সেই সূত্রেই বৃহস্পতিবার কৈলাসের কলকাতায় আসা। শহরের মার্কিন দূতাবাস ও স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা যৌথ উদ্যোগে শিশুপাচার রুখতে আন্তর্জাতিক সম্মেলনের আয়োজন হয়েছিল। সেখানেই এসেছিলেন কৈলাস।
আর, কলকাতায় পা দিয়েই তিনি প্রশংসায় ভরিয়ে দিলেন রাজ্য সরকারকে। প্রশংসা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মস্তিষ্কপ্রসূত কন্যাশ্রী ও স্বয়ংসিদ্ধা প্রকল্পের। কন্যাশ্রী ইতিমধ্যেই আন্তর্জাতিকস্তরে স্বীকৃতি পেয়েছে। রাষ্ট্রসংঘের পুরস্কারও পেয়েছে। ১৩ থেকে ১৯ বছরের মেয়েরা এই প্রকল্পে টাকা পাচ্ছে। তাদের পড়ার খরচ লাগছে না। পাশাপাশি, আর্থিক সমস্যাও মিটছে। আর, প্রকল্প স্বয়ংসিদ্ধায় স্কুলের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে শিশুপাচার রুখছে রাজ্য সরকার। নিজের পায়ে দাঁড়ানোর ভরসা জোগাচ্ছে শিশুকন্যাদের।
আরও পড়ুন- দেশীয় বিমানবাহী রণতরী আইএনএস বিক্রান্ত, তুলে দেওয়া হল নৌবাহিনীর হাতে
প্রকল্পগুলোর প্রশংসা করে কৈলাস বুঝিয়ে দেন, তিনি যথেষ্ট খোঁজ রাখেন এই ব্যাপারে। কৈলাস জানান, বাল্যবিবাহ রুখতে বড় ভূমিকা নিয়েছে কন্যাশ্রী। সত্যার্থী বলেন, 'দুটো প্রকল্পই আমার পছন্দ। কারণ, দুটোই শিশুদের বড় সমস্যার সমাধান করেছে। কন্যাশ্রী আর্থিক সাহায্য জোগাচ্ছে। আর, স্বয়ংসিদ্ধা নাবালিকাদের বিয়ে রুখছে। নিশ্চিন্তে লেখাপড়া চালানোর ভরসা জোগাচ্ছে। শৈশব বাঁচাতে দুটোই অত্যন্ত জরুরি।'
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত বিভিন্ন প্রকল্পের সুরক্ষায় গোটা রাজ্যকে সুরক্ষিত করেছেন। বিশেষ করে নারীশিক্ষা এবং নারীর উন্নয়নে তাঁর প্রকল্পগুলো ইতিমধ্যেই বিশেষ অবদান রেখেছে। সেই সব প্রকল্পেরই অন্যতম কন্যাশ্রী। যাকে দেশের অন্যান্য রাজ্যগুলোও ইতিমধ্যে মডেল হিসেবে বেছে নিয়েছে। সেই সব প্রকল্পেরই ভূয়ষী প্রশংসা করে নোবেল শান্তি পুরস্কারজয়ী বুঝিয়ে দিলেন রাজনৈতিক কচকচি যতই থাকুক, ভালো কাজের কোনও বিকল্প হয় না।