সোমবারই তৃণমূল সুপ্রিমো তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নেতাজি ইন্ডোরে ইমামদের সভা থেকে বলেছিলেন যে, তিনি চান না যে ফুরফুরা শরিফে কোনও রাজনীতি হোক। ফুরফুরা শরিফের পিরজাদা নওশাদ সিদ্দিকি বর্তমানে ভাঙড়ের আইএসএফ বিধায়ক। তাঁদের সংগঠন আইএসএফ বাম ও কংগ্রেসের সঙ্গী। সেকথা মাথায় রেখে ইমামদের সভা থেকে সোমবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, 'বিজেপির কিছু নেতা নগদ টাকা দিয়ে সংখ্যালঘুদের ভাগাভাগি করতে চাইছে। আর, লজ্জা বলে সিপিএমের তো কিছুই নেই। আমি চাই না, ফুরফুরা শরিফে রাজনীতি প্রবেশ করুক। যেমনটা, বেলুড় মঠের ক্ষেত্রেও আমি চাই না।'
দলনেত্রীর সেই বার্তা এবার শোনা গেল হুগলির যে অঞ্চলে ফুরফুরা শরিফ, সেই জাঙ্গিপাড়ার বিধায়ক তথা রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তীর গলায়। মঙ্গলবার তিনি জানান, ফুরফুরায় রাজনীতি করা উচিত নয়। অন্তত তৃণমূল কংগ্রেস সেটা করবে না। দল সিদ্ধান্ত নিয়েছে, ফুরফুরা শরিফে যে এলাকায় পিরজাদারা থাকেন, সেই এলাকায় কোনও রাজনৈতিক মিটিং-মিছিল করা হবে না। এমনকী, কোনও ঝান্ডাও লাগানো হবে না। পাশাপাশি, তিনি বাকি রাজনৈতিক দলগুলোর কাছেও আবেদন জানান যাতে ফুরফুরাতে রাজনীতি না-হয়।
এই ব্যাপারে মঙ্গলবার স্নেহাশিস চক্রবর্তী বলেন, 'ফুরফুরা দরবার একটি পবিত্র ধর্মীয় স্থান। পশ্চিমবঙ্গে মুসলিম সম্প্রদায়ের দ্বিতীয় বৃহত্তম তীর্থক্ষেত্র ফুরফুরা শরিফ মৌলানা পির আবু বকর সিদ্দিকির স্মৃতি বিজড়িত। এখানকার বিধায়ক হিসেবে এটা আমার কাছে গর্বের জায়গা। সেই দরবার শরিফের মধ্যে রাজনৈতিক কারণে কোনও অশান্তি তৈরি হোক, এটা কাম্য হতে পারে না। অশান্তি থেকে কোনও পিরসাহেবের গায়ে একটা আঘাত লেগে গেল, এটা কিন্তু আমরা কখনও কামনা করি না।'
আরও পড়ুন- লক্ষ্য লোকসভা ভোট, বিজেপির ‘জাতীয়তাবাদ’-এর কোন দাওয়াই বাছল তৃণমূল?
তৃণমূল কংগ্রেস সমস্ত রাজনৈতিক দলের কাছেই ফুরফুরা শরিফে রাজনীতি বন্ধের আবেদন জানিয়েছে বলেই জানান স্নেহাশিস চক্রবর্তী। তিনি বলেন, 'আমি সব রাজনৈতিক দলের কাছে আহ্বান করেছি, দরবার শরিফের মধ্যে রাজনৈতিক কার্যকলাপ করা উচিত নয়। আমরা কি তারকেশ্বর মন্দিরের মধ্যে করছি? আমরা কি তারাপীঠের মধ্যে করছি? দক্ষিণেশ্বরের মধ্যে করছি? করছি না। তাই ফুরফুরা দরবার শরিফের মধ্যে রাজনীতিটাকে বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছি।'