কামদুনি গণধর্ষণ কাণ্ডে নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ ঘিরে হইচই পড়েছে। উদ্বিগ্ন খোদ মুখ্যমন্ত্রী। যদিও বিরোধী দল ও মৃতার পরিবার আসামিদের সাজা কমানোর রায়ের জন্য দায়ী করেছেন রাজ্য সরকারকেই। পাল্টা ওই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছে নবান্ন। মমতা সরকারের উপর ভরসা নেই কামদুনির। সবমিলিয়ে প্রবল অস্বস্তিতে তৃণমূল সরকার। এতেই তিতিবিরক্ত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর দায়ে মন্ত্রিসভায় কার? সূত্রের খবর, আর সহ্য না করে একেবারে চরম সিদ্ধান্ত নিতে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
মন্ত্রীর ডানা ছাঁটা
নবান্ন সূত্রে খবর, পুজোর পর মন্ত্রিসভায় আবার রদবদল করতে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তখনই কামদুনি মামলার রায়ের জন্য ডানা ছাঁটা হতে পারে আইনমন্ত্রী মলয় ঘটকের।
মলয়ের বিরুদ্ধে ঠিক কী অভিযোগ?
প্রশাসন সূত্রে খবর, আইনের মত গুরু দায়িত্ব পেলেও মলয় ঘটক গত কয়েক বছর ধরেই বেশ উদাসীন। বেআইনি কয়লা পাচার মামলায়ও আইনমন্ত্রীকে ১০ বারের বেশি তলব করেছে ইডি। কিন্তু তিনি একবারও হাজিরা দেননি। মন্ত্রীর আসানসোল ও কলকাতার বাড়িতে তল্লাশিও হয়েছে। অভিযোগ, মলয় ঘটক দায়িত্বে থাকলেও আইন দফতর উপেক্ষিত। সরকারের আইনি বিষয়আশয়ের সঙ্গেই বিচার ব্যবস্থার সঙ্গে সমন্বয় সাধন করাও আইন মন্ত্রীর অন্যতম কাজ। কিন্তু এই কাজে তেমন সাড়া ফেলতে ব্যর্থ মলয়বাবু। সেই ঘাটতির খেসারত দিতে হতে পারে তাঁকে।
মলয়ের জায়গায় কে?
জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক মুখ্যমন্ত্রীর প্রিয়পাত্রদের অন্যতম। তিনি আইনেরও ছাত্র ছিলেন। গত মন্ত্রিসভায় খাদ্য দফতরের দায়িত্বে থাকলেও বর্তমানে সামলাচ্ছেন বনমন্ত্রীর পদ। সম্প্রতি মন্ত্রিসবার রদবদলে গুরুত্ব বেড়েছে বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের। দেখার মলয় ঘটকের চেয়ারে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বসেন কিনা।
কী নির্দেশ হাইকোর্টের?
গত শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ কামদুনি গণধর্ষণ মামলার রায় ঘোষণা করেছে। অভিযুক্ত ৬ জনের মধ্যে ৪ জনকেই বেকসুর খালাস করে দিয়েছে উচ্চ আদালত। এই চার জনের মধ্যে এক জনের ফাঁসির সাজা দিয়েছিল নিম্ন আদালত। বাকি তিন জনকে আমৃত্যু কারাবাসের সাজা দিয়েছিল। কিন্তু প্রমাণের অভাবে তাদের সবাইকেই মুক্তি দিয়েছে উচ্চ আদালত।