ভোটের শেষ লগ্নে ভোটমুখী ধূপগুড়িতে গিয়ে পৃথক মহকুমার বড় প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। যা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল বিরোধী নেতৃত্বরা। সেসব বিরোধিতা ইভিএমে কার্যত ফুৎকারে উড়ে গিয়েছে। বিজেপির শক্ত ঘাঁটি উত্তরবঙ্গের ধুপগুড়ি উপনির্বাচনে জয় পেয়েছে জোড়-ফুল। সেই জয়ের দিন তিনেকের মধ্যে ধূপগুড়িবাসীকে বিরাট উপহার দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়িত হবে বলে সোমবার নবান্নে জানিয়ে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বললেন, 'ধূপগুড়ি মহকুমা হচ্ছে।'
মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা
ধূপগুড়িকে মহকুমা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য মন্ত্রিসভা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এ দিন বলেছেন, 'ধূপগুড়ি মহকুমা হচ্ছে, এটা সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অভিষেক ভোটের আগে কথা দিয়েছিল, ধূপগুড়ি মহকুমা হচ্ছে। বানারহাটের একটা অংশও তাতে যুক্ত হচ্ছে। পৃথক মহকুমার প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। আমি ফিরে এসে ওটা পাস করে দেব।'
কী বলেছিলেন অভিষেক?
ধূপগুড়িকে আলাদা মহকুমা হিসেবে ঘোষণার দাবি অনেকদিনের ছিল। উপনির্বাচনের প্রচারে গিয়ে মঞ্চ থেকে নিজেই বেঁধে দিয়েছিলেন ডেডলাইন। অভিষেকের প্রতিশ্রুতি ছিল, '৩১ ডিসেম্বরের মধ্য়ে আলাদা মহকুমা হবে ধূপগুড়ি।' বলেছিলেন, 'আমি বলতে পারতাম, একবছর বা দেড় বছরে হবে। আমি বলতে পারতাম কীভাবে করা যায় মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করব। আমি বলছি হবে, করে দেখাব, প্রতিশ্রুতি কাঁধে তুলে নিয়ে যাচ্ছি।'
মমতার এক্সবার্তা
সোমবার নবান্নে ঘোষণার পরই এক্সে (সাবেক টুইট) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লিখেছেন, 'আমি এটা জানাতে পেরে আনন্দিত যে আমাদের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী এই বছরের শেষ নাগাদ ধূপগুড়ি আনুষ্ঠানিকভাবে মহকুমার মর্যাদা লাভ করবে। এই মাইলফলক উন্নত স্থানীয় শাসনের সূচনা করবে এবং এই অঞ্চলে উন্নয়নের নতুন পথ খুলে দেবে। ধূপগুড়ির জন্য একটি সমৃদ্ধ ভবিষ্যত গঠনে আমাদের উৎসর্গ অবিচল থাকে!'
তৃণমূলের প্রতিশ্রুতি রক্ষার পাঠ
তৃণমূলের এক্স অফিসাল হ্যান্ডলারে লেখা হয়েছে, 'যখন আমরা প্রতিশ্রুতি দিই, তখন তা রক্ষা করি! অভিষেক উপনির্বাচনের আগে বলেছিলেন ধূপগুড়ি শীঘ্রই মহকুমায় পরিণত হবে। আজ, মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী শ্রীমতী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাংবাদিক বৈঠকের মাধ্যমে একই ঘোষণা করেছেন এবং দ্রুত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে বলে জানিয়েছেন।'