মন্ত্রী অখিল গিরির রাষ্ট্রপতি অবমাননা নিয়ে বঙ্গ রাজনীতি উত্তাল। তাঁকে মন্ত্রিত্ব থেকে বহিষ্কারের দাবি আগেই জানিয়েছিল বিজেপি। অভিযোগ গিয়েছিল জাতীয় মহিলা কমিশনে। দায়ের হয়েছে এফআইআর। জেলায় জেলায় চলছে বিজেপির প্রতিবাদ মিছিল। সোমবার বিকেলে বিরোধী দলনেতার নেতৃত্বে বিজেপির জনা পঞ্চাশ বিধায়ক রাজভনে গিয়ে অখিল গিরির বিরুদ্ধে প্রোয়জনীয় পদক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন। তারপরই নবান্নে অখিল গিরির মন্তব্য প্রসঙ্গে মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বললেন, 'অখিল ঠিক করেনি। ভবিষ্যতে করতে দল ব্যবস্থা নেবে।'
Advertisment
নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, 'মাননীয় রাষ্ট্রপতিকে আমরা সকলে সম্মান ও শ্রদ্ধা করি। তিনি খুবই সম্মানীয় মহিলা। তাঁর সমন্ধে অখিলের এই মন্তব্য করাটা ঠিক হয়নি। এটাকে আমরা নিন্দা করি। পার্টি থেকে ওকে সাবধান করা হয়েছে। আমরা ওঁর বক্তব্যকে সমর্থন করিনা, ওকে বলে দেওয়া হয়েছে আবার যেন এটা বলা না হয়। আমি ব্যক্তিগতভাবে ওনাকে সম্মানকরি। আমি মনে করি সৌন্দর্য শুধু রঙের মধ্যে হয় না। উপরে উপরে দেখার মধ্যে সৌন্দর্য হয় না। উনি খুবই সুইট লেডি। এটা অখিল অন্যায় করেছে। আমার বিধায়ক যা বলেছেন তার আমি নিন্দা করছি। দল আগে নিন্দা করলেও পার্টির তরফে আমি ক্ষমা চাইছি। রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে ব্যক্তিগতভাবে কোনও কুমন্তব্য আমরা করি না। এটা আমাদের পার্টির সংস্কৃতি নয়।'
তৃণমূল বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদাকে নিয়ে নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারীর মন্তব্য নিয়েও তোলপাড় হচ্ছে। তৃণমূলের নিশানায় শুভেন্দু অধিকারী। জনজাতির মানুষকে পদ্ম শিবির অপমান করছে বলে অভিযোগ। যা নিয়ে এ দিন অখিল গিরি প্রসঙ্গের পরই সুর চড়ান মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, 'বীরবাহা তো আদিবাসী পরিবারের মেয়ে। একটা সাংস্কৃতিক পরিবারের মেয়ে। তাঁকে যদি কেউ বলে জুতোর নীচে রেখে দেওয়ার মতো, সেটা কি সমীচিন, রুচিকর? কাউকে দাঁড়কাক বলাটাও কি উচিত?'
মুখ্যমন্ত্রীর সাফকথা, 'মানুষের ভিতরটা সুন্দর হওয়া উচিত। উপরটা ভালো হলে তো ভালোই। কিন্তু, মনের ভিতরটা সুন্দর হওয়া জরুরি। কেউ অন্যায় করলে সমর্থন করি না।'
মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, বাংলাকে যেভাবে বিজেপি নেতারা আক্রমণ করছে সেটা মোটেও উচিত নয়। তাঁর কথায়, 'বাংলার প্রতি বঞ্চনা, টাকা না দেওয়া, এখানকার কয়েকটা লোক বলছে বাংলাকে টাকা দেবে না এগুলো ঠিক নয়। জনতার দরবারে ওরা জিরো হয়ে গিয়েছে। মিথ্য বলতে বলতে এবার মিশে যাবে।'
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, 'কথা বলাটা একটা আর্ড। আমি মাঝেমধ্যে বলি কিম্ভূতকিমাকার। ওটাতো একটা শব্দ। ডিক্সনারির মধ্যে রয়েছে। কথা ভাষা সবতো উচ্চারণ, যতটুকু বাংলার মাটি থেকে শিখেছি..। খখনও যদি খারাপ কথা মুখ দিয়ে বেরিয়ে যায় তা প্রত্যাহার করি সেটা তো অধিকারের মধ্যে পড়ে। ওরা ক্ষমতার ঔদ্ধত্য দেখাচ্ছে, দেখব সেটা না হলে ওদের কী হয়।'
অখিলের কুবচন: ক্ষমা চাইলেন মমতা, যদিও শুভেন্দু সহ বিজেপি নেতৃত্বের মানসিকতা নিয়ে প্রশ্ন
'অখিল ঠিক করেনি। ভবিষ্যতে করতে দল ব্যবস্থা নেবে।'
Follow Us
মন্ত্রী অখিল গিরির রাষ্ট্রপতি অবমাননা নিয়ে বঙ্গ রাজনীতি উত্তাল। তাঁকে মন্ত্রিত্ব থেকে বহিষ্কারের দাবি আগেই জানিয়েছিল বিজেপি। অভিযোগ গিয়েছিল জাতীয় মহিলা কমিশনে। দায়ের হয়েছে এফআইআর। জেলায় জেলায় চলছে বিজেপির প্রতিবাদ মিছিল। সোমবার বিকেলে বিরোধী দলনেতার নেতৃত্বে বিজেপির জনা পঞ্চাশ বিধায়ক রাজভনে গিয়ে অখিল গিরির বিরুদ্ধে প্রোয়জনীয় পদক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন। তারপরই নবান্নে অখিল গিরির মন্তব্য প্রসঙ্গে মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বললেন, 'অখিল ঠিক করেনি। ভবিষ্যতে করতে দল ব্যবস্থা নেবে।'
নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, 'মাননীয় রাষ্ট্রপতিকে আমরা সকলে সম্মান ও শ্রদ্ধা করি। তিনি খুবই সম্মানীয় মহিলা। তাঁর সমন্ধে অখিলের এই মন্তব্য করাটা ঠিক হয়নি। এটাকে আমরা নিন্দা করি। পার্টি থেকে ওকে সাবধান করা হয়েছে। আমরা ওঁর বক্তব্যকে সমর্থন করিনা, ওকে বলে দেওয়া হয়েছে আবার যেন এটা বলা না হয়। আমি ব্যক্তিগতভাবে ওনাকে সম্মানকরি। আমি মনে করি সৌন্দর্য শুধু রঙের মধ্যে হয় না। উপরে উপরে দেখার মধ্যে সৌন্দর্য হয় না। উনি খুবই সুইট লেডি। এটা অখিল অন্যায় করেছে। আমার বিধায়ক যা বলেছেন তার আমি নিন্দা করছি। দল আগে নিন্দা করলেও পার্টির তরফে আমি ক্ষমা চাইছি। রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে ব্যক্তিগতভাবে কোনও কুমন্তব্য আমরা করি না। এটা আমাদের পার্টির সংস্কৃতি নয়।'
তৃণমূল বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদাকে নিয়ে নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারীর মন্তব্য নিয়েও তোলপাড় হচ্ছে। তৃণমূলের নিশানায় শুভেন্দু অধিকারী। জনজাতির মানুষকে পদ্ম শিবির অপমান করছে বলে অভিযোগ। যা নিয়ে এ দিন অখিল গিরি প্রসঙ্গের পরই সুর চড়ান মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, 'বীরবাহা তো আদিবাসী পরিবারের মেয়ে। একটা সাংস্কৃতিক পরিবারের মেয়ে। তাঁকে যদি কেউ বলে জুতোর নীচে রেখে দেওয়ার মতো, সেটা কি সমীচিন, রুচিকর? কাউকে দাঁড়কাক বলাটাও কি উচিত?'
মুখ্যমন্ত্রীর সাফকথা, 'মানুষের ভিতরটা সুন্দর হওয়া উচিত। উপরটা ভালো হলে তো ভালোই। কিন্তু, মনের ভিতরটা সুন্দর হওয়া জরুরি। কেউ অন্যায় করলে সমর্থন করি না।'
আরও পড়ুন- আদালতে বড় ধাক্কা মমতা প্রশাসনের, শুভেন্দুকে সভার নির্দেশ, চওড়া হাসি বিজেপির
মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, বাংলাকে যেভাবে বিজেপি নেতারা আক্রমণ করছে সেটা মোটেও উচিত নয়। তাঁর কথায়, 'বাংলার প্রতি বঞ্চনা, টাকা না দেওয়া, এখানকার কয়েকটা লোক বলছে বাংলাকে টাকা দেবে না এগুলো ঠিক নয়। জনতার দরবারে ওরা জিরো হয়ে গিয়েছে। মিথ্য বলতে বলতে এবার মিশে যাবে।'
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, 'কথা বলাটা একটা আর্ড। আমি মাঝেমধ্যে বলি কিম্ভূতকিমাকার। ওটাতো একটা শব্দ। ডিক্সনারির মধ্যে রয়েছে। কথা ভাষা সবতো উচ্চারণ, যতটুকু বাংলার মাটি থেকে শিখেছি..। খখনও যদি খারাপ কথা মুখ দিয়ে বেরিয়ে যায় তা প্রত্যাহার করি সেটা তো অধিকারের মধ্যে পড়ে। ওরা ক্ষমতার ঔদ্ধত্য দেখাচ্ছে, দেখব সেটা না হলে ওদের কী হয়।'