ভোটের মধ্যেই কথা দিয়েছিলেন, শীতলকুচি হত্যাকাণ্ডের তদন্ত করিয়েই ছাড়বেন। তৃতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েই কথা রাখলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শীতলকুচি হত্যাকাণ্ডের তদন্তে সিট গঠন করলেন তিনি। এর আগে ঘটনার তদন্ত শুরু করে সিআইডি। এবার সিটও তৈরি করলেন মমতা।
রাজ্য পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ সূত্রে খবর, ডিআইজি সিআইডি কল্যাণ মুখোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে সিট গঠন করে শীতলকুচি হত্যাকাণ্ডের তদন্ত করা হচ্ছে। আর আজ, বৃহস্পতিবারই শীতলকুচি হত্যাকাণ্ডের তদন্তকারী অফিসারকে ভবানী ভবনে তলব করা হয়েছে। তলব করা হয়েছে মাথাভাঙা থানার আইসি-কেও। এদিকে, এদিনই মমতা ঘোষণা করেন, শীতলকুচির নিহতদের পরিবারের একজনকে রাজ্য সরকারি চাকরি দেওয়া হচ্ছে।
জানা গিয়েছে, আনন্দ বর্মণ-সহ পাঁচজনেরই পরিবারের একজনকে চাকরি দেওয়া হচ্ছে রাজ্য পুলিশের হোমগার্ড পদে। তিনি এও জানিয়েছেন, প্রত্য়েকেরই মৃত্যুর সঠিক তদন্ত হবে। প্রত্যেকেই বিচার পাবেন। নিহত আনন্দ বর্মণের পরিবার বিজেপি সমর্থক হলেও সাহায্য ও বিচারের ক্ষেত্রে কোনও ভেদাভেদ করেননি মুখ্যমন্ত্রী।
এ দিন নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করে মুখ্যমন্ত্রী জানান, শীতলকুচি নিয়ে সিআইডি তদন্ত চালাচ্ছে। ওখানে পাঁচজন মারা গিয়েছিল, “চারজন রাজবংশী মুসলিম, একজন হিন্দু মারা গিয়েছে। পাঁচজনের পরিবারকেই আমরা পাঁচটা হোমগার্ডের চাকরি দিচ্ছি। এই প্রতিশ্রুতিটা আমরা আগেই দিয়েছিলাম যে আমরা করব। আমরা দিচ্ছি ওদের চাকরি।”
উল্লেখ্য, মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ গ্রহণের পরই বুধবার বড়সড় পুলিশি রদবদল করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর মধ্যে তাৎপর্যপূর্ণ বদল হয়েছে কোচবিহারে। ১০ এপ্রিল চতুর্থ দফার ভোটের দিন কোচবিহার জেলার শীতলকুচিতে বুথের মধ্যে গুলি চালিয়েছিল কেন্দ্রীয় বাহিনী। সেই ঘটনায় মৃত্যু হয় ৪ জন ভোটারের। পুলিশ সুপারের ভূমিকা নিয়ে তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতার দায়িত্ব গ্রহণের পরই তাঁকে সাসপেন্ড করল নবান্ন। দেবাশিস ধরের জায়গায় এসপি করা হয়েছে কে কান্নানকে।