ফের দাদার হয়ে ব্যাট ধরলেন বাংলার দিদি। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে আইসিসি চেয়ারম্যান না হতে দেওয়ার জন্য ফের প্রতিবাদে গর্জে উঠলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার বাগডোগরা বিমানবন্দর থেকে কলকাতায় ফিরে সংবাদমাধ্যমের সামনে ক্ষোভ উগরে দিলেন মমতা। বললেন, "সৌরভকে বঞ্চনা করা হল। বিজেপি সরকারের অনেককে অনুরোধ করেছিলাম। ওঁকে পাঠালে দেশের গৌরব বাড়ত। কিন্তু রাজনীতির শিকার হল সৌরভ। কোন অজ্ঞাত কারণে ওঁকে বঞ্চনা করা হল সেটা জানতে চাই।"
এদিন মমতা বলেন, "কোন অজানা কারণে, কোন ব্যক্তিগত স্বার্থসিদ্ধির কারণে দেশের একজন অন্যতম ক্রীড়াপ্রেমী মানুষকে বঞ্চনা করা হল। এখানে শচীন থাকলে, আজহার থাকলে তাঁদেরও সমর্থন করতাম। আমরা ক্রিকেটটাকে সারা দেশের সঙ্গে একভাবে দেখেছি। সৌরভ সারা বিশ্বে সমাদৃত। ও ভদ্র ছেলে, তাই মুখে কিছু বলছে না। কিন্তু হয়তো ওঁর মনে খারাপ লেগেছে, আঘাত লেগেছে। কিন্তু এটা আমরা সহজ ভাবে নিচ্ছি না। এটা একটা লজ্জাজনক রাজনৈতিক প্রতিহিংসা, একজনকে সুবিধা দিতে এটা করা হল। একজনকে সুবিধা দিয়ে কেন আরেকজনকে বঞ্চনা করব। আমি বলছি যদি কারও যোগ্যতা থাকে তাহলে সে কেন সুযোগ পাবে না।"
মমতা আরও বলেছেন, "তিনবছর আরও টার্ম থাকা সত্ত্বেও জয় শাহ বোর্ডে থাকছেন অথচ সৌরভকে সরিয়ে দেওয়া হল। এমনকী আজই আইসিসি-র মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষদিন ছিল। সৌরভকে সুযোগটা দেওয়া হল না। এটা অত্যন্ত লজ্জার। এটা একটা রাজনৈতিক প্রতিহিংসা।"
আরও পড়ুন দাদা’র সমর্থনে চালিয়ে ব্যাট দিদি’র, তারপরই বললেন- ‘যেন রাজনীতি না হয়’, শুরু তরজা
প্রসঙ্গত, গত সোমবার উত্তরবঙ্গ সফরে যাওয়ার আগে কলকাতা বিমানবন্দরে সৌরভের জন্য মুখ খুলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেছিলেন, “অমিতবাবুর (জয় শাহ) ছেলে বোর্ডে রয়ে গেলেন। সে থাকতেই পারেন, ভাল কাজ করলে থাকবে, ভাল না হলে বলবই। ছোট ছেলে, কিন্তু সৌরভকে কেন অন্যায় ভাবে বাদ দেওয়া হল তা জানতে চাই।”
আরও বলেন, “সৌরভ শুধু বাংলার নয়, দেশের গর্ব। তিনবছর বিসিসিআইয়ের প্রেসিডেন্ট ছিল। যেমন অসাধারণ ক্রিকেটার ছিল, তেমনই দক্ষ প্রশাসক ছিল। ওকে অন্যায় ভাবে বাদ দেওয়া হয়েছে। আমি অত্যন্ত ব্যথিত। সৌরভ অত্যন্ত জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব। ভারতীয় দলের অধিনায়ক ছিল ও। দেশকে অনেক কিছু দিয়েছে। ওকে কেন অন্যায় ভাবে বাদ দেওয়া হল।”