শিয়রে পঞ্চায়েত ভোট। আর জেলার সবচেয়ে বড় নেতাই জেলবন্দি। এই অবস্থায় বীরভূম সফরে গিয়ে বড় সিদ্ধান্ত নিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অনুব্রত-হীন বীরভূমে নয়া কোর কমিটি গঠন করলেন মুখ্যমন্ত্রী। আগে এই কমিটির সদস্য ছিলেন চার জন। এবার তা বেড়ে হল সাত জন। কোর কমিটিতে ঢুকলেন দুই কেষ্ট-বিরোধী নেতা কাজল শেখ এবং সাংসদ শতাব্দী রায়।
Advertisment
সোমবার বীরভূমে সফরে এসে জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করেন মমতা। জেলবন্দি অনুব্রতকে নিয়ে ইতিমধ্যেই তৃণমূলের অন্দরে অস্বস্তির মেঘ। সামনে পঞ্চায়েত ভোট, অনুব্রতর না থাকাটা চিন্তার কারণ তৃণমূল নেত্রীর। তাই এদিন পঞ্চায়েত ভোটকে সামনে রেখে জেলার কোর কমিটি সাজালেন মমতা। আগে কোর কমিটিতে ছিলেন সিউড়ির বিধায়ক বিকাশ রায়চৌধুরী, লাভপুরের বিধায়ক অভিজিৎ সিং, বোলপুরের বিধায়ক চন্দ্রনাথ সিনহা এবং রামপুরহাটের বিধায়ক আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়।
এবার কমিটিতে জুড়লেন কাজল শেখ, বীরভূমের সাংসদ শতাব্দী রায় এবং বোলপুরের সাংসদ অসিত মাল। উল্লেখ্য, গত বছর অগস্ট মাস থেকে জেলে রয়েছেন বীরভূম জেলা তৃণমূলের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। বীরভূমে সংগঠন ধরে রাখতে মরিয়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার নিজেই নয়া কোর কমিটি গঠন করে রাশ ধরলেন মুখ্যমন্ত্রী।
বীরভূমে কাজল শেখের সঙ্গে অনুব্রতর আদায়-কাঁচকলায় সম্পর্ক সবার জানা। শতাব্দীর সঙ্গেও অম্লমধুর সম্পর্ক। কিন্তু অনুব্রতহীন বীরভূমে কোর কমিটিতে এই দুজনের অন্তর্ভুক্তি তাৎপর্যপূর্ণ। বহুবার নেত্রীর কাছে অনুব্রত নিয়ে অনুযোগ করেছেন শতাব্দী। একাধিক গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচিতে তাঁকে ব্রাত্য রাখা হত বলে অভিমান ছিল তাঁর। কিন্তু অনুব্রত জেলে থাকার দরুণ বার বার জেলায় শতাব্দীকে দেখা গিয়েছে। অতীতের তিক্ততা ভুলে অনেক বার অনুব্রতর পাশে দাঁড়াতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। তারই কি পুরস্কার পেলেন শতাব্দী, গুঞ্জন রাজনৈতিক মহলে।