'পশ্চিমবঙ্গ দিবস' কবে পালিত হবে? সেই আলোচনার জন্য আগামী ২৯ অগাস্ট সর্বদলীয় বৈঠক ডাকলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
পশ্চিমবঙ্গের প্রতিষ্ঠা দিবস পালনকে কেন্দ্র করে শাসক-বিরোধী মতান্তর রয়েছে। এই ইস্যুতে রাজভবন-নবান্ন সংঘাতও স্পষ্ট। ইতিহাসকে মর্যাদা দিয়ে ২০ জুন 'পশ্চিমবঙ্গ দিবস' পালনের পক্ষে বিজেপি। তাতে সায় রয়েছে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের। চলতি বছর মুখ্যমন্ত্রীর অনুরোধ সত্ত্বেও ওই দিনই 'পশ্চিমবঙ্গ দিবস' হিসাবে উদযাপন হয়েছে রাজভবনে।
অন্যদিকে শাসক তৃণমূল চায় ১লা বৈশাখ 'পশ্চিমবঙ্গ দিবস' পালিত হবে।
এই টানাপোড়েনের আবহে বিধানসভার বৈঠকে এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে যে 'পশ্চিমবঙ্গ দিবস' নিয়ে প্রস্তাব আনা হবে। যদিও প্রস্তাব কবে আনা হবে, তা এখনও স্থির হয়নি। জানা গিয়েছে, বিধানসভার চলতি অধিবেশন আগামী ২৯ তারিখ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও তা আগামী ৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে। ২৯ তারিখ যেহেতু 'পশ্চিমবঙ্গ দিবস নিয়ে নবান্নে সর্বদলীয় বৈঠক হওয়ার কথা, তাই অনুমান চলতি অধিবেশনেই এই প্রস্তাব আনতে পারে রাজ্য সরকার।
কেন ২০ জুন 'পশ্চিমবঙ্গ দিবস' পালনের পক্ষপাতী বিজেপি?
২০ জুন দিনটির সঙ্গেই জড়িয়ে রয়েছে বঙ্গভঙ্গের ইতিহাস। ওই দিনই অখণ্ড বাংলা খণ্ডিত হয়েছিল। তৈরি হয় তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান (বর্তমানে বাংলাদেশ) এবং একটি অংশ ভারতে রয়ে যায়। যার নাম হয় পশ্চিমবঙ্গ। ফলে ওই দিন খাতায়-কলমে পশ্চিমবঙ্গের জন্ম বলে বিজেপির দাবি।
তৃণমূল মনে করে, ২০ জুন দিনটির সঙ্গে আনন্দ নয়, দ্বিখণ্ডিত হওয়ার বেদনা রয়েছে। ফলে ওই দিন নয়, ১লা বৈশাখ 'পশ্চিমবঙ্গ দিবস' উদযাপন করা ভালো।
রাজ্যের প্রতিষ্ঠা দিবস কবে পালিত হবে? তা নির্ণয়ে বিধানসভায় ইতিহাসবিদ অধ্যাপক সুগত বসুর নেতৃত্বেএকটি কমিটি তৈরি হয়েছিল। সেই কমিটির উপদেষ্টা হয়েছিলেন বিশিষ্ট ইতিহাসবিদ সুগত বসু। এই কমিটির অন্য সদস্যরা ছিলেন ব্রাত্য বসু, ফিরহাদ হাকিম, শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়রা। সেই কমিটির সদস্যরাই অধ্যক্ষের ঘরে বৈঠক করে। এরপর 'পশ্চিমবঙ্গের দিবস' পালন নিয়ে সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত হয়েছে।