কালিয়াগঞ্জের নির্যাতিতাকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে বলে দাবি পরিবারের। তবে ময়না তদন্তের রিপোর্টকে ঢাল করে শুরু থেকেই সেই দাবি উড়িয়ে দিয়েছে পুলিশ। এবার মুখ খুললেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর দাবি, 'মেয়েটার হোয়াটসঅ্যাপ ডিটেল পাওয়া গিয়েছে, লাভ অ্যাফেয়ার ছিল। তবে আমরা মর্মাহত।'
Advertisment
এদিনের সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, 'ওইটুকু বাচ্চার মৃত্যু। তদন্ত হবে। পরিবারের পাশে আমরা আছি থাকব। আমরা হোয়াটসঅ্যাপ পুরোটাই পেয়েছি। তাঁদের মধ্যে একটা ভালোবাসার উদ্যোগও ছিল। কারণ পুলিস বের করবে খুঁজে, তদন্ত চলছে।'
পাশাপাশি প্রতিবাদের নামে থানায় ভাঙচুর, পুলিশকে মারধরের ঘটনার প্রেক্ষিতে মমতার হুঁশিয়ারি, 'কীভাবে বিহার থেকে এসে জল্লাদগিরি করা হল, তাই নিয়েও স্ট্রংলি তদন্ত হবে। একদিকে মেয়েটার কেসটার তদন্ত হবে, একইসঙ্গে এই গুন্ডামিরও তদন্ত হবে।' দোষীদের দ্রুত ধরে তাদের থেকে সরকারি সম্পত্তির ক্ষতিপূরণের অর্থ নেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
কালিয়াগঞ্জের ঘটনায় ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী। পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। সূত্রের খবর, নবান্নের প্রসানিক বৈঠকে ভর্ৎসনা করেছেন রাজ্য পুলিশের ডিজি-কে। পুলিশের ইন্টালিজেন্স ফেলিওর নিয়ে অসন্তোষ প্রখাস করেছেন তিনি। একই সঙ্গে মর্মান্তিক ওই ঘটনার ৫ দিন পরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, 'ডেডবডি ওইভাবে নিয়ে যাওয়া উচিত হয়নি। মৃতদেহ জীবিত অবস্থার থেকেও আরও সম্মানীয়।' কালিয়াগঞ্জকাণ্ডের পর এবার থানাগুলিকে ১০টি করে শববহনকারী ব্যাগ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী।