দলের জাতীয় মুখপাত্র সাকেত গোখলের গ্রেফতারি নিয়ে এবার মুখ খুললেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সাকেতের গ্রেফতারিকে প্রতিহিংসামূলক পদক্ষেপ বলে অভিহিত করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার গভীর রাতে জয়পুর বিমানবন্দরে নামতেই সাকেত গোখলেকে গ্রেফতার করে গুজরাট পুলিশ। সেখান থেকে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় আহমেদাবাদে। গুজরাটের মোরবির সেতু বিপর্যয় নিয়ে টুইট করার জেই সাকেত গোখলেকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে দাবি তৃণমূলের।
সাকেত গ্রেফতারিতে গেরুয়া দলকে নিশানা করে সুর চড়ালেন মমতা। দিল্লিতে জি-২০-এর বৈঠক সেরে প্রস্তাবিত কর্মসূচি অনুযায়ী মঙ্গলবার রাজস্থান সফরে বেড়িয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে দলের জাতীয় মুখপাত্র সাকেত গোখলের গ্রেফতারি নিয়ে মুখ খুলেছেন তৃণমূলনেত্রী। তিনি বলেন, ''সাকেত সমাজমাধ্যমে খুবই জনপ্রিয়। কোনও ভুল উনি করেননি। ওঁকে গ্রেফতার করেছে। খুব খারাপ খবর। ওঁর কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়েছিল। অনেক কষ্টে বেঁচেছে। রাত দু'টোয় গুজরাটের পুলিশ ওকে আহমেদাবাদে নিয়ে গিয়েছে। কেন, না উনি প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে একটা টুইট করেছিলেন।''
এরপরেই মুখ্যমন্ত্রী সোশ্যাল মিডিয়ায় সমালোচনা নিয়ে নিজের প্রসঙ্গও টেনে আনেন। তিনি বলেন, ''আমার বিরুদ্ধেও তো কত টুইট হয়েছে। তবে এই বিষয়টি সাইবার অপরাধ হলে দেখা উচিত। ব্যক্তিগত আক্রমণ হয় এমন টুইট করা উচিত নয়। মোরবিতে সেতু ভেঙে পড়েছে। এটা একটা বড় কাণ্ড। এই নিয়েই উনি টুইট করেছিলেন। এই পদক্ষেপকে ধিক্কার জানাচ্ছি।''
আরও পড়ুন- ঢাল নেই তরোয়াল নেই নিধিরাম সর্দার! পিজি-কাণ্ডে রাজ্যকেই দুষছেন বিশিষ্ট চিকিৎসকরা
এর আগে তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও'ব্রায়েনও দলের জতীয় মুখপাত্রের গ্রেফতারির বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন। সাকেতকে গ্রেফতার করে মাত্র ২ মিনিটের জন্য ফোন বাড়ির লোকের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ দেওয়া হয়েছিল বলে দাবি করেছেন ডেরেক। এদিকে, আগামিকাল থেকেই সংসদে শুরু হচ্ছে শীতকালীন অধিবেশন।
আজ তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে আছেন দিল্লিতে। শীতকালীন অধিবেশন শুরুর আগে দিল্লি বসে দলের সাংসসদের রণকৌশল সাজিয়ে দিচ্ছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। স্বাভাবিকবাবেই এদিনের আলোচনায় সাকেত গ্রেফতারি প্রসঙ্গ অন্য মাত্রা পাবে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। তৃণমূল সুপ্রিমোর নির্দেশেই এবার সাকেত গ্রেফতারি শীতকালীন অধিবেশনের শুরুর দিনেই সুর চড়াতে পারে তৃণমূল।