রেড রোডের ধরনামঞ্চ থেকে ডিএ আন্দোলনকারীদের তীব্র ভাষায় আক্রমণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার তিনি অভিযোগ করেন, যারা চিরকুটে চাকরি পেয়েছিল, তারাই ডিএর ধরনামঞ্চে বসে আছেন। মুখ্যমন্ত্রীর ভাষায়, 'প্রতিদিন আপনারা এখানে গিয়ে, ওখানে গিয়ে এই চাই, ওই চাই বলছেন! যারা চিরকুটে চাকরি পেয়েছিল, সব ডিএ আন্দোলনের ওখানে গিয়ে বসে আছে। জ্ঞান দিচ্ছে চোর, ডাকাত, ডাকাত সর্দাররা। চোর-ডাকাতগুলোর তালিকা আছে। তাদের কাছে আমাদের জ্ঞান শুনতে হবে?' এসব কথা বলার সঙ্গেই মুখ্যমন্ত্রী মঞ্চ থেকে একটা কাগজ তুলে দেখান।
মঞ্চ থেকে সিপিএমকে তুলোধনা করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'প্রাইমারি স্কুল হোক, মাধ্যমিক স্কুল হোক, যত চাকরি বেরোচ্ছে, সব কোঅর্ডিনেশন কমিটির লোকজন করছে। আর, ওদের ২০০৯-এর ফাইল খুঁজুন, পাবেন না। হয় নেই। নতুবা পুড়িয়ে দিয়েছে। আজ তাদের গলার জোর বেশি। সিপিএমের এক সারদার বন্ধু, তার স্ত্রী ৫৫ হাজার টাকা পেনশন পাচ্ছে। তিনশো টাকায় ঢুকেছিল। পেনশন নিয়ে একটু নাড়াচাড়া করি? আপনারা যখন বলছেন?' একথা বলে উপস্থিত তৃণমূল কর্মীদের দিকে তাকান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এরপরই তৃণমূল সুপ্রিমো বলেন, 'আমরা কারও চাকরি খেতে চাই না। কারও চাকরি খাব না। আমরা শুধু চাকরি দেব, চাকরি দেব, চাকরি দেব।' এই পরিস্থিতিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্যের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ডিএ আন্দোলনকারীরাও। তাঁরা ধরনামঞ্চ থেকে সাংবাদিকদের কাছে প্রশ্ন তোলেন, 'মুখ্যমন্ত্রী যদি মনে করেন যে আন্দোলনকারীরা চিরকুটে চাকরি পেয়েছে, তাহলে তদন্ত করছেন না কেন? রাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেস তো ১২ বছর হল ক্ষমতায় এসেছে। উনি তদন্ত করলেই তো সত্যিটা জানতে পারবেন। ডিএ কোনও ভিক্ষার টাকা না। কর্মচারীদের ন্যায্য অধিকার। তা না-পাওয়ায় আন্দোলন চলছে।'
আরও পড়ুন- রাহুল প্রেমে তৃণমূল! মমতা অভিষেকের সুচারু কৌশল
আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, রাজ্য সরকার একদিকে সরকারি কর্মীদের প্রাপ্য ডিএর টাকা দিতে পারছে না। অন্যদিকে মেলা-খেলার পিছনে প্রচুর টাকা দান-খয়রাতি করছে। তাই বাধ্য হয়েই তাঁরা বকেয়া বুঝে নিতে আন্দোলনে নেমেছেন। সঙ্গে, আদালতের দ্বারস্থও হয়েছেন।