Mamata Banerjee Narendra Modi Central Grant: বাংলাকে কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগ নবান্নের। সরব মুখ্যমন্ত্রী। এবার দাবি আদায়ে রেড রোডে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে ধর্নায় বসলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ৪৮ ঘন্টা চলবে এই কর্মসূচি। আর শুক্রবার এই ধর্না শুরুর কয়েক ঘন্টা আগেই রাজ্যের জন্য ১ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করল মোদী সরকার।
নবান্ন সূত্রে খবর, 'জল জীবন মিশন' প্রকল্প খাতে কেন্দ্রীয় জল শক্তি মন্ত্রক পশ্চিমবঙ্গের জন্য ৯৫১ কোটি ৫৭ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করেছে। এই প্রকল্পের দ্বিতীয় কিস্তির বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে রাজ্যকে। নির্দিষ্ট এই প্রকল্পের আওতায় কেন্দ্র-রাজ্য অংশীদারিত্ব হল ৫০:৫০। অর্থাৎ কেন্দ্রের মত রাজ্যকেও এই প্রকল্প খাতে সম-পরিমাণ অর্থ (৯৫১ কোটি ৫৭ লক্ষ টাকা) খরচ করতে হবে।
নির্দিষ্ট প্রকল্পে বরাদ্দ এই টাকা রিলিজের পাশাপাশি কেন্দ্রের তরফে নবান্নকে জানানো হয়েছে যে, ১৫ দিনের মধ্যে রাজ্য সরকারকেও সম-পরিমাণ টাকা এসক্রো অ্যাকাউন্টে জমা করতে হবে। এছাড়া বলা হয়েছে যে, এই টাকা কোনওভাবেই অন্য খাতে ঘোরানো যাবে না। অর্থাৎ কেন্দ্রীয় বঞ্চনার প্রতিবাদে এদিন মোদী সরকারের উদ্যোগ আদতে নবান্নের উপর চাপ সৃষ্টির কৌশল কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
আরও পড়ুন- Digha: দিঘার কাছেই সোনালী এক ইতিহাস সৃষ্টির পথে! যুগান্তকারী পদক্ষেপ আর মাত্র কয়েকদিনেই
বুধবার রাতেই দিল্লি গিয়েছেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। রাজভবন সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার সকালে দেশের উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে দেখা করেছেন তিনি। পরে সন্ধ্যায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শাহের সঙ্গেও দেখা করেন বোস। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গেও কথা হয়েছে তাঁর। তারপরই এক ভিডিও বার্তায় রাজ্যপাল জানিয়েছেন, বাংলার বকেয়া শীঘ্রই মিটিয়ে দেওয়া হবে। বঙ্গবাসীকে ন্যায় পাইয়ে দিতে যা করার কেন্দ্রীয় সরকার করবে। রাজ্যপাল বলেছেন, 'কেন্দ্র সরকারের কিছু নিয়ম আছে। রাজ্যের কাছে নির্দিষ্ট কিছু বিষয় জানতে চেয়েছে তারা। রাজ্য তার উত্তর দিচ্ছে। কেন্দ্রের সঙ্গে সহযোগিতা শুরু করেছে। আমি নিজেও কিছু বিষয় পর্যালোচনা করেছি। কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বিষয়টি উত্থাপন করেছি। কেন্দ্রীয় সরকার যে নিয়ম বেঁধে দিয়েছে, তা মানতে হবে। যোগ্যরা বঞ্চিত হবেন না। দ্রুত মিটিয়ে দেওয়া হবে রাজ্যের বকেয়া।'