বুধবার সংসদে ঢুকে পড়েছিল দুই আগুন্তুক। চারদিকের নিরাপত্তা জোরদার করা হচ্ছে। আর বৃহস্পতিবার আচমকাই মুখ্যমন্ত্রী নিজের কালীঘাটের বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়লেন এক ঘন্টা আগে। সাধারণত নবান্নের উদ্দেশ্যে বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ বেরোন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু, এ দিন তিনি বেরিয়েছিলেন বেলা সাড়ে ১০টা নাগাদ। মিনিট কুড়ির পথ। সোজা চলে যান নবান্নে। সেখানে গিয়ে চোদ্দতলায় নিজের দফতরে পৌঁছন। তারপরই তাঁর চোখ কপালে ওঠার জোগাড়।
উত্তরবঙ্গ সফর সেরে বুধবারই কলকাতায় ফিরেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তারপর আর রাজ্য প্রশানের সদর দফতরে যাননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ দিন তাই কিছুটা আগেই দফতরে প্রবেশ করে যান তিনি। আর তাতেই বেআব্রু দশা। যা নিজেই দেখলেন মমতা।
আরও পড়ুন- নিজের স্বপ্নের প্রকল্পের অন্ধকার ভবিষ্যতের ইঙ্গিত খোদ মমতার! বিকল্প নিয়েও প্রশ্ন
সূত্রের খবর, দফতরে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী দেখেন, নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশের পদস্থ কোনও অফিসারই তখন নবান্নে এসে পৌঁছননি! প্রায় ১১ টা বেজে গেলেও ওসি, এসি সহ নবান্নের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা অফিসারেরা তখনও গরহাজির। যা চিন্তায় ফেলে দিয়েছে মুখ্যমন্ত্রীকে। জানা গিয়েছে, এই হাল দেখে মুখ্যমন্ত্রী তাঁর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সিকিওরিটি অব ডিরেক্টরকে পুরো বিষয়টি জানিয়েছেন ও সবটা দেখার নির্দেশ দিয়েছেন। প্রশাসন সূত্রে খবর, নবান্নের নিরাপত্তা নিয়ে বৃহস্পতিবার বেশ কয়েক দফায় সংশ্লিষ্ট অফিসারদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সংসদের নিরাপত্তার গাফিলতি নিয়ে প্রশ্ন ওঠার পরেই এ দিন সাত তাড়াতাড়ি নবান্নে পৌঁছে যান মুখ্যমন্ত্রী। নবান্নের নিরাপত্তা খতিয়ে দেখতেই তাঁর এই আচমকা হানা বলে মনে করা হচ্ছে। জানা গিয়েছে, বুধবার সংসদের ঘটনার পর নবান্ন, বিধানসভা সহ রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ সব জায়গার নিরাপত্তার বহর বাড়ানো হচ্ছে। বিধানসভায় বিধায়ক, কর্মী ও ভিজিটরদের প্রবেশের ক্ষেত্রে নয়া নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন- ফলে গেল সুকান্তের কথাই? ভোটের মুখে বঙ্গে ‘অতি সক্রিয়’ অনুপম বেজায় ফাঁপড়ে!