/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2022/11/mamata-on-dengue.jpg)
ডেঙ্গি নিয়ে মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী।
কোচবিহার থেকে কাকদ্বীপ- রাজ্যজুড়ে চরম ডেঙ্গু আতঙ্ক। দু'বছর আগের পরিসংখ্যানকেও ছাপিয়ে গিয়েছে এবারের সংক্রমণের হার। মৃত্যুও বাড়ছে ক্রমশ। বিরোধীদের কাঠগড়ায় প্রশাসন। হিমশিম অবস্থা পুরনিগম, পুরসভা বা পঞ্চায়েতগুলোর। কেন ডেঙ্গুর এত রমরমা? শুধুই কী জমা জলই কারণ? এসব নিয়েই বুধবার কৃষ্ণনগরের দলীয় জনসভায় ব্যাখ্যা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, 'ডেঙ্গু নানারকম জিন নিয়ে বারেবারে আসে। আমি পঞ্চায়েত, পুরসভা, বিধায়ক, সাংসদ প্রত্যেককে বলব, সতর্ক থাকুন। এলাকা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখুন। মশা বাড়তে দেবেন না।'
পাশাপাশি ডেঙ্গু যে অচিরেই কমবে সেকথাও এ দিন শুনিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, 'এখন কোভিড নেই। প্রায় কমে গিয়েছে। কিন্তু ডেঙ্গুটা একটু একটু আছে। তবে ওটাও নিম্নমুখী। যত শীত পড়বে তত কমে যাবে।'
ডেঙ্গু রোধে নেত্রীর আর্জি, 'অনেক জায়গায় অনেক পুজো হয়েছে। প্রতিমা বিসর্জন হয়েছে। যার ফলে বহু জায়গায় আবর্জনা জমেছে। তাই মশা বাড়ছে। কোথাও জল জমতে দেবেন না। বাড়ির আশেপাশে আবর্জনা জমতে দেবেন না।'
মঙ্গলবারই নবান্নে জেলা প্রশানের আধিকারিকদের সঙ্গে ডেঙ্গু নিয়ে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করেছেন রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। সেখানে মূলত জোর দেওয়া হয়েছে কো-মর্বিডিটির উপর। হাসপাতালে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী ভর্তির ক্ষেত্রে শুরুতেই রোগীর অন্য কোনও অসুস্থতা রয়েছে কি না তা দেখতে বলা হয়েছে। হাসপাতালে ২৪ ঘণ্টা ফিভার ক্লিনিক চালু রাখতে বলা হয়েছে। প্রকোপ বেশি এমন এলাকার বেশ কয়েকটি সরকারি হাসপাতাল যেমন পিজি, বেলেঘাটা আইডি, হাওড়া জেলা, শ্রীরামপুর জেলা হাসপাতাল, শিলিগুড়ি পুর হাসপাতাল ২৪ ঘণ্টা টেস্টের ব্যবস্থা চালু রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।