তাজপুরে গভীর সমুদ্র বন্দর তৈরির বিষয়টি পাকা করে ফেলল রাজ্য সরকার। বুধবার রাজ্য সরকারের উদ্যোগে আয়োজিত বিজয়া সম্মিলনীর অনুষ্ঠানে আদানি গোষ্ঠীর হাতে সমুদ্র বন্দর তৈরি সংক্রান্ত যাবতীয় কাগজপত্র তুলে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আদানি গোষ্ঠীর কর্ণধার গৌতম আদানির পুত্র কিরণ আদানির হাতে বুধবার সন্ধেয় সমুদ্র বন্দর তৈরির অনুমোদন সংক্রান্ত কাগজপত্র তুলে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
রাজ্যে বড় শিল্প সম্ভাবনায় বিরাট দরজা খুলে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দেশের প্রথম সারির শিল্পগোষ্ঠী আদানিদের হাতে তুলে দিলেন গভীর সমুদ্র বন্দর তৈরির দায়িত্ব। এর আগে বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে এসে তাজপুরে সমুদ্র বন্দর তৈরির কাজ করার ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন আদানি গোষ্ঠীর কর্ণধার গৌতম আদানি। তারপরের কয়েক মাসে রাজ্য সরকার এবং আদানি গোষ্ঠীর মধ্যে কথাবার্তা এগিয়েছে।
শেষমেশ বুধবার রাজ্যের তরফে আয়োজিত বিজয়া সম্মিলনীর অনুষ্ঠানে হাজির হয়েছিলেন গৌতম আদানির ছেলে কিরণ। তাঁর হাতেই ওই দিন তাজপুরে গভীর সমুদ্র বন্দর তৈরির অনুমোদন সংক্রান্ত কাগজপত্র তুলে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। আদানিদের মতো শিল্পগোষ্ঠীর রাজ্যে বিনিয়োগ যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
আরও পড়ুন- মানিকের RK-DD কে? গভীর রহস্য উন্মোচন ‘ফেলুদা’ শুভেন্দুর!
বিরোধীরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রায়শই শিল্পবিরোধী বলে কটাক্ষ করে থাকেন। সেদিক থেকে দেখতে গেলে আদানিদের মতো দেশের প্রথম সারির শিল্পগোষ্ঠীকে রাজ্যে টেনে আনা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের বড়সড় সাফল্য বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। এরই পাশাপাশি আদানি গোষ্ঠীকে তাজপুরে সমুদ্র বন্দর তৈরির ছাড়পত্র দিয়ে দেশের বাকি বড় শিল্পপতিদেরও একটি স্পষ্ট বার্তা দিতে চাইলেন মুখ্যমন্ত্রী। পশ্চিমবঙ্গে বিনিয়োগ করলে রাজ্য সরকার সবরকম সহযোগিতা করবে, আদানিদের রাজ্যে টেনে এনে পরোক্ষে সেই বার্তাই দিলেন মমতা, এমনই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহলের একটি বড় একাংশ।
উল্লেখ্য, তাজপুরে সমুদ্র বন্দর তৈরিতে মোট ২৫ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ হবে। একবার বন্দরটি তৈরি হয়ে গেলে কমপক্ষে ২৫ হাজার মানুষ প্রত্যক্ষভাবে কাজের সুযোগ পাবেন। এছাড়াও পরোক্ষভাবে কর্মসংস্থান হবে বহু মানুষের। তাজপুরে সমুদ্র বন্দর তৈরি হযে গেলে শিল্পক্ষেত্রে রাজ্যের সামনে বিরাট সম্ভাবনার দরজা খুলে যাবে।