Mamata Govt SSC Recruitment Scam Verdict: গত সোমবার ২৫,৭৫৩ চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। তারপরই তেড়েফুঁড়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপি ও আদালতকে নিশানা করেছিলেন। সেই নির্দেশের ৪৮ ঘণ্টাও পেরোয়নি। চাকরি বাতিল নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে গেল এসএসসি।
হাইকোর্টের নির্দেশে চাকরিহারাদের কি নতুন করে পরীক্ষা দিতে হবে? নাকি পুরনো ওএমআর-এর পুনর্মূল্যায়ন করে যোগ্যদের চাকরি দেওয়া হবে? নানা ব্য়াখ্য়ায় চরম বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে। কমিশন কেন অযোগ্যদের বরখাস্ত করল না? এসএসসি ও রাজ্য সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন চাকরিহারাদের একাংশ। সেই আবহেই শীর্ষ আদালতে গেল রাজ্য সরকার।
বুধবার এসএসসির তরফে সুপ্রিম কোর্টে যাতে দ্রুত শুনানি করা যায় তার আবেদন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন- Lok-Sabha Election 2024: আচমকা মন্ত্রী শশী পাঁজার বাড়িতে বিজেপি প্রার্থী তাপস রায়! কীসের ইঙ্গিত?
সোমবার এসএসসির চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার জানিয়েছিলেন যে, হাইকোর্টের এই রায়ে তাঁরা সন্তুষ্ঠ নন। খুশি নন। তাঁর প্রশ্ন ছিল, পাঁচ হাজার জনের বিরুদ্ধে অবৈধ ভাবে চাকরি পাওয়ার অভিযোগ উঠেছে, তার জন্য ২৬ হাজার জনের কেন চাকরি বাতিল হবে? পরবর্তী পদক্ষেপের কথা জানিয়েছিলেন তিনি।
সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, ২০১৬ সালের এসএসসির সম্পূর্ণ নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করে দেয়। গ্রুপ সি এবং গ্রুপ ডি মিলিয়ে মোট ২৫ হাজার ৭৫৩ জনের চাকরি বাতিল করা হয়। এসএসসি-র প্যানেলের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পর যাঁরা চাকরি পান, তাঁদের ১২ শতাংশ সুদ-সহ বেতন ফেরত দিতে নির্দেশ দেয় আদালত।
এছাড়াও বলা হয় যে, এসএসসি দুর্নীতি সংক্রান্ত অভিযোগগুলি নিয়ে তদন্ত চালিয়ে যাবে সিবিআই। প্রয়োজনে তারা সন্দেহভাজনদের হেফাজতে নিয়েও জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে। অভিযোগ ছিল, অযোগ্যদের চাকরি দেওয়ার জন্য বাড়তি পদ তৈরি করা হয়েছিল এসএসসিতে। সেই পদ তৈরির অনুমোদন দিয়েছিল খোদ মন্ত্রিসভা। সোমবারের রায়ে আদালত জানায়, সিবিআই চাইলে মন্ত্রিসভার সদস্যদেরও হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে।