বিজেপিকে হারাতে ঘটা করে ইন্ডিয়া জোট হয়েছে। যার শরিক কংগ্রেস, তৃণমূল। কিন্তু বাংলায় কী জোট হবে? আপাতত এ নিয়ে কোনও সিদ্ধান্তই হয়নি বলে দুই শিবিরেরই দাবি। কিন্তু, রাজনীতি তো সম্ভাবনার শিল্প। সেই প্রবাদই উস্কে দিলেন কংগ্রেস সাংসদ আবু হাসেম খান চৌধুরী (ডালু)। তাঁর দাবি, গত লোকসভা ভোটে বাংলা থেকে কংগ্রেসের জেতা দুই আসন হাত শিবিরকে ছেড়ে দেওয়া হবে বলে ইতিমধ্যেই হাইকমান্ডকে কথা দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
জোট নিয়ে কী দাবি ডালুর?
কোতোয়ালির বাড়িতে বসে জোট নিয়ে এদিন বরকত গণিখান চৌধুরীর ভাই আবু হাসেন খান চৌধুরী বলেন, 'দক্ষিণ মালদা এবং বহরমপুর আসন আমাদের (কংগ্রেস) ছেড়ে দিয়েছেন বলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন। তবে আমাদের আরও কিছু দাবি রয়েছে। সেগুলি নিয়ে আলোচনা চলছে। তৃণমূলের সঙ্গে জোটের জন্য অপেক্ষায় রয়েছি। ৩০ ডিসেম্বর আলোচনার পরই সেটি হয়তো চূড়ান্ত হবে।'
মালদা দক্ষিণের সাংসদের দাবি, 'কংগ্রেস সাতটি আসনের দাবি রয়েছে। তার ভিত্তিতে লোকসভা নির্বাচনে নামবে আমাদের। নইলে এই আসনগুলোতে বিরোধী বিজেপি সুযোগ নিয়ে নেবে।'
কোন আসনের দাবি কংগ্রেসের?
ডালুবাবুর কথায়, এবারের লোকসভা নির্বাচনে উত্তর মালদা, দক্ষিণ মালদা, বহরমপুর, মুর্শিদাবাদ, রায়গঞ্জ, পুরুলিয়া সহ মোট সাতটি আসনের কথা তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বকে ইতিমধ্যেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
কী বলছেন অধীর?
'আমি এ সব বিষয়ে জানি না! আমার সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তো কথা হয়নি। তাই এ সব কথা আমি বলতে পারব না। ডালুবাবুর সঙ্গে হয়তো কথা হয়েছে। তাই তিনি হয়তো বলতে পারছেন।'
তৃণমূল বলছে…
তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ জোট সংক্রান্ত আবু হাসেম খান চৌধুরীর মন্তব্যের প্রেক্ষিতে বলেছেন, 'আসন ছাড়া বা না-ছাড়ার পুরো বিষয়টিই দলের শীর্ষ নেতৃত্বের বিষয়।'
চলতি মাসে ইন্ডিয়া জোটের বৈঠকে রাজ্যভিত্তিক দ্রুত জোট গড়ার উপর জোর দিয়েছেন নেতারা। তাতে সায় রয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ে। তৃণমূল দাবি করেছিল ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে আসন সমঝোতা চূড়ান্ত হোক। কিন্তু এখনও পর্যন্ত সেই দাবির বাস্তব রবপায়ণ দেখা যায়নি। অন্যদিকে সেই বৈঠকের পরপরই বাংলার কংগ্রেস নেতাদের নিয়ে দিল্লিতে বৈঠক ডেকেছিলেন রাহুল গান্ধী, মল্লিকার্জুন খাড়গেরা। সূত্রের খবর, বঙ্গ কংগ্রেসের নেতাদের প্রায় সকলেই ওই বৈঠকে তৃণমূলের সঙ্গে জোটের বিরোধিতা করেছেন। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হাইকমান্ডের উপরই ছেড়ে দিয়েছেন। তার মাঝেই ডালুর বাউন্সারে বঙ্গ রাজনীতিতে চর্চার খোরাক বয়ে নিয়ে এল।