মন্ত্রিসভা থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। তিনি রাজ্যের শিল্প ও বাণিজ্য দফতরের মন্ত্রী ছিলেন। সেই সঙ্গেই পরিষদীয়, তথ্য ও প্রযুক্তি দফতরও সামলাতেন। প্রশ্ন হল এবার এই দফতরগুলি কে দেখভাল করবেন? মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর এর জবাব দিয়েছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী। ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেছেন মন্ত্রিসভা গঠন নিয়েও।
এ দিন ক্যাবিনেট বৈঠকের পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় বলেছেন, 'পার্থদার কাছে যে যে দফতরগুলি ছিল, সেগুলি আপাতত আমার কাছে আসছে। হয়ত কিছুই করব না, কিন্তু যতক্ষণ না নতুন করে মন্ত্রিসভা গঠন করছি ততক্ষণ পার্থদাকে রেহাই দিয়েছি। এই দফতরগুলি আমার কাছে এসেছে।'
অর্থাৎ নয়া মন্ত্রিসভা যে দ্রুত গঠন করা হতে পারে তার ইঙ্গিত দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এরপরই জল্পনা, নয়া মন্ত্রী হিসাবে কে বা কারা মন্ত্রিসভায় ঠাঁই পেতে পারেন। আলোচনায় প্রবলভাবে উঠে আসছে বালিগঞ্জের বিধায়ক বাবুল সুপ্রিয়। মোদী মন্ত্রিসভার প্রাক্তন সদস্যের হাতেই এতদিন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের শিল্প দফতরের দায়িত্ব যেতে পারে। পরিষদীয় দফতর থাকবে কার হাতে? সূত্রের খবর, তৃণমূল নেতৃত্বের পছন্দ বর্ষীয়ান বিধায়ক তথা কৃষি দফতরের মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়কে। এছাড়া বেশ কয়েকটি রদবদল মন্ত্রিসভায় করা হতে পারে বলে খবর।
আরও পড়ুন- পার্থকে সরিয়ে ‘অপরাধ স্বীকার মমতার’, সুর চড়াল বিজেপি
শুধু মন্ত্রিত্ব থেকেই নয়, দল থেকে সাসপেন্ড করা হয়েছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। অতএব দলীয় ৫টি পদ থেকে সরানো হল তাঁকে। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক বলেছেন, 'যাঁরা দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত তাঁদের কঠোর শাস্তি হোক। কারোর বিরুদ্ধে অভিযোগ এলে তখনই ব্যবস্থা নিতে হবে। সাধারণ মানুষের সঙ্গে অবিচার হলে তৃণমূল আপোস করবে না। তবে নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে তদন্ত শেষ করুক কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দল।' পরবর্তী কার্যকমিটির বৈঠকে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের দায়িত্বে থাকা তৃণমূলের পদগুলি কে সামলাবেন তা স্থির হবে বলে জানিয়েছেন অভিষেক।
একই সঙ্গে অভিষেকের নিশানা করেন বিজেপিকে। তাঁর কথায়, 'বিজেপি বলছে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে যাঁর ফ্ল্যাট থেকে টাকা পাওয়া গিয়েছে তাঁর ছবি দেখা গিয়েছে। ফলে মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে চিনতেন। নীরব মোদীর সঙ্গে মোদীর ছবি দেখা গিয়েছিল। সে এখন ফেরার। তাহলে কী মোদী এক্ষেত্রে দোষী? আসলে ওয়াশিং মেশিনে না গেলেই এই ধরের সমালোচনা করা হয়।'