দক্ষিণেশ্বরের পর কালীঘাটেও স্কাইওয়াক। নববর্ষের আগে স্কাইওয়াকের উদ্বোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। "ধর্ম যার যার, উৎসব সবার" ফের বললেন মুখ্যমন্ত্রী। স্কাইওয়াক উদ্বোধনের পর মুখ্যমন্ত্রী এদিন আরো বলেন, "ধর্ম মানে শ্রদ্ধা, শান্তি, সংস্কৃতি। মানুষকে ভালোবাসার মতো ধর্ম হতে পারে না। মানুষকে ভালবাসলে সব কিছু জয় করা যায়। শান্তিপূর্ণভাবে গণতান্ত্রিক আন্দোলন করার অধিকার সবার।'
দক্ষিণেশ্বর স্কাইওয়াক দারুন জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। দক্ষিণেশ্বর রেলস্টেশনে নেমে সরাসরি স্কাইওয়াক দিয়ে হেঁটে ভক্তরা মন্দিরে ঢুকে পড়তে পারছেন। আগে রাস্তায় যেসব হকাররা দক্ষিণেশ্বর মন্দিরের আশেপাশে বসতেন তাদেরই তুলে আনা হয়েছে স্কাইওয়াকের ওপরে। সুসজ্জিত স্কাইওয়াকের ওপরে চলছে ছোট ছোট বেশ কিছু দোকান।
দক্ষিণেশ্বরের স্কাইওয়াক তৈরির পর থেকেই কলকাতার কালীঘাট মন্দিরেও এমনই একটি স্কাইওয়াক তৈরীর ভাবনা আসে রাজ্যের মাথায়। বিশেষ করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এ ব্যাপারে ভীষণ রকমের তৎপরতা নেন। মাসের পর মাস ধরে বোঝানো হয় কালীঘাট মন্দির চত্বরের ছোট ছোট দোকানিদের। স্কাইওয়াক তৈরীর পর তাদের কিভাবে পুনর্বাসন দেয়া হবে সে ব্যাপারে বিশদে বোঝানো হয় তাদের।
শেষমেষ মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের প্রকল্পের বাস্তবায়ন হল সোমবার। বাংলা নতুন বছর শুরুর আগের দিন কালীঘাট স্কাইওয়াকের উদ্বোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কলকাতার মুকুটে জুড়লো ফের এক সোনার পালক। এদিন কালিঘাট মন্দিরের স্কাইওয়াক উদ্বোধনে মুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম থেকে শুরু করে রাজ্য প্রশাসনের একাধিক কর্তা।