মণিপুর ইস্যুতে বিধানসভায় নিন্দা প্রস্তাবের আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নীরবতা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন মুখ্যমন্ত্রী। মণিপুরবাসীকে বাংলায় আমন্ত্রণ জানিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'আমি মনে করি মণিপুরের বিষয় নিয়ে স্টেটমেন্ট দেওয়া উচিৎ প্রধানমন্ত্রীর। মনে করলে আমাদের থেকে সাজেশন নিন। আমরা হেল্প করব। প্রধানমন্ত্রী যদি না পারেন, আমাদের দায়িত্ব দিন। মণিপুর একটি সেনসিটিভ ইস্যু। আপনারা যখন ফেল করেছেন, তখন মুখে লিউকোপ্লাস্ট লাগিয়ে বসে থাকুন।' পাশাপাশি তাঁর কটাক্ষ, 'বিদেশ যেতে পারেন প্রধানমন্ত্রী। গিফট নিতে পারেন। কিন্তু একবার মণিপুর যেতে পারেন না। বিজেপি লজ্জা লজ্জা লজ্জা!'
গত শনিবারই লোকসভার বিরোধী জোট 'ইন্ডিয়া'র ২০ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল মণিপুর সফরে গিয়েছিলেন। শনি ও রবি দুদিন ধরে সেখানকার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করার কথা ছিল তাঁদের। এরপর রবিবার বিকেলে টুইট করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, ইন্ডিয়া জোট সবসময় মণিপুরের মানুষের পাশে আছে। মণিপুরকে জ্বলতে দেখেও যে ক্ষমতাশালীরা মুখে কুলুপ এঁটে বসে রয়েছেন, তা নিয়ে কটাক্ষ করেন তিনি।মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, 'আমি চিঠি লিখেছিলাম মণিপুর যাওয়ার জন্য। আমি চিঠি না লিখেও তো যেতে পারতাম, কারণ ভারতবর্ষের যে কোনও জায়গায় যাওয়ার অধিকার আমাদের আছে।'
মমতা বলেছেন, 'আপনারা এখানে আসুন, যদি আমরা একটা রুটি পাই, আধাআধি করে খাব।'
তবে, নিন্দাপ্রস্তাবে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর দাবি, এভাবে রাজ্য বিধানসভায় এই ধরনের প্রস্তাব আনা যায় না। এটা বেআইনি। তাঁরা এই বিষয় নিয়ে সুপ্রিম কোর্টেও যাবেন বলে জানান শুভেন্দু অধিকারী।
বিরোধী দলনেতার বক্তব্যের পাল্টা স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বিধানসভার রুল ২১০-এর উল্লেখ করে জানান, 'বিধানসভা মনে করলে এই ধরনের প্রস্তাব আনতেই পারে। আপনি অধ্যক্ষকে এই ভাবে হুমকি দিতে পারেন না। আপনাদের লোকসভার যাঁরা আছেন তাঁদের কাছ থেকে শিখে আসবেন কীভাবে অধ্যক্ষকে সম্মান জানাতে হয়। আপনি সুপ্রিম কোর্টে যেতেই পারেন, সেই অধিকার আপনার রয়েছে। সবারই সেই অধিকার রয়েছে।'