সোমবারই নজরুল মঞ্চ থেকে পার্থ গ্রেফতার ইস্যুতে নীরবতা ভাঙেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেন, "বিচারে আইন যা রায় দেবে, আমাদের দল মাথা পেতে নেবে। যত চরম শাস্তিই হোক, আমরা কোনও হস্তক্ষেপ করব না। যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিলেও আই ডোন্ট মাইন্ড।" মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্য নিয়ে মঙ্গলবার কলকাতায় পা রেখেই সহমত পোষণ করলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
মঙ্গলবার ভোর ৬.৩৪ মিনিট নাগাদ ভুবনেশ্বর থেকে কলকাতায় উড়িয়ে আনা হয় পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। সেখান থেকে সোজা নিয়ে যাওয়া হয় সিজিও কমপ্লেক্সে। বিমানবন্দরে নেমেই সংবাদমাধ্যমের তরফে মমতার গতকালের মন্তব্য নিয়ে প্রশ্ন করা হয় পার্থকে। সংক্ষিপ্ত উত্তরে তিনি বলেন, ঠিক বলেছেন।
সোমবার নজরুল মঞ্চে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, “অন্যায়কে আমি সাপোর্ট করি না। অন্যায়কে সাপোর্ট করা আমার জীবনের নেশাও নয়, পেশাও নয়। জেনেশুনে আমি কোনও দিন কাউকে অন্যায় করতে দিইনি। আমি চাই সত্যটা সামনে আসুক। সত্য প্রমাণ হলে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিন। আমার কোনও আপত্তি নেই। আমার ছবির সঙ্গে টাকার পাহাড়ের ছবি দিয়ে কুৎসা রটাচ্ছ বিরোধীরা। কয়েকটা রাজনৈতিক দলের আচরণে আমি সত্যিই খুব দুঃখিত। আমি পুজোয় যাই। অর্গানাইজাররা আগে থেকে যদি কাউকে ডেকে রাখে। তাতে আমি কী করতে পারি। তার মানে আমি পুজোর প্যান্ডেলে যাব না? যদি কেউ চোর-ডাকাত হয় তৃণমূল রেয়াত করবে না। কিন্তু অযথা আমার গায়ে কালি ছেটানো হলে আমি ছেড়ে কথা বলব না। আমার হাতেও আলকাতরা আছে।”
আরও পড়ুন গভীর রাত ২.৩২ থেকে সকাল ৯.৩৫ মিনিট! চার বারেও ফোন ধরলেন না মমতা, হতাশ হয়ে যান পার্থ
নাকতলা উদয়ন সংঘের পুজোর উদ্বোধনে গিয়ে অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের মুখোমুখি হয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই ভিডিও পোস্ট করে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে অর্পিতার যোগ রয়েছে বলে দাবি করেছে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তা নিয়েই এদিন অগ্নিশর্মা হলেন মমতা। মুখ্যমন্ত্রী পাল্টা বলেন, “কোথায় একটা পুজোর উদ্বোধনে গেছি। সেখানে কে কে রয়েছে আমি কী করে জানব! একজন মহিলার ছবি দিয়ে আমাকে কালিমালিপ্ত করা হচ্ছে। এসব আবার কী? পার্থর বন্ধু আমি কী করে জানব?”
এর পর তিনি বলেন, “চোর ডাকাতকে প্রশ্রয় দিয়ে আমাদের দল তৈরি হয়নি। আমাদের দল আদর্শ দিয়ে তৈরি হয়েছে। আপনাদের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিলাম। কারণ মনের কথা বলতে বাধ্য হলাম মর্মাহত হয়ে। গুণী ব্যক্তিদের কাছে ক্ষমা চাইছি।”