উপাচার্য নিয়োগ ইস্যুতে রাজ্যপাল-নবান্ন সংঘাতে চরমে। তার মধ্যেই গত শনিবার গোপন পত্রাঘাত নিয়ে সরগরম বঙ্গ রাজনীতি। কী আছে ওই চিঠিতে? সোমবারও ওই চিঠির বিষয়বস্তু নিয়ে মুখ খুলতে নারাজ রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান। উল্টে বললেন, বিদেশ যাত্রার আগে মুখ্যমন্ত্রীর টেনশন আর বাড়াতে চান না তিনি!
কী বলেছেন রাজ্যপাল?
শনিবার রাতে মুখবন্ধ খামে দুটি চিঠি দিয়েছেন সিভি আনন্দ বোস। একটি মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে, অন্যটি কেন্দ্রের কাছে। গোপন সেই চিঠির বিষয়বস্তু নিয়ে তুঙ্গে কৌতূহল। সেই বিতর্কেই সোমবার রাজভবনে সাংবাদিক বৈঠক করে মুখ খুললেন খোদ রাজ্যপাল। বললেন, 'গোপন জিনিস গোপন থাকা ভাল। মুখ্যমন্ত্রী বিদেশে যাচ্ছেন, তাঁর ব্যাগের বোঝা বাড়াতে চাই না। টেনশন দিতে চাই না। আসলে কথা হবে। এই বিষয়ে প্রাপক উত্তর দিতে পারেন।'
ব্রাত্যকে কাটাক্ষ
রণংদেহী মেজাজের মধ্যেও কিছুটা ভিন্ন সুর রাজ্যপালের? ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে রাজনৈতিক মহল। তবে, শিক্ষামন্ত্রী সমন্ধে এদিন চাঁচাছোলা মন্তব্য করেছেন আনন্দ বোস। যদিও নাম নেননি ব্রাত্য বসুর। বলেছেন, 'প্রয়োজনে যা বলার মুখ্যমন্ত্রীকে বলবো। কোনও জুনিয়র অ্যাপয়েন্টি কি কখা কথা বলেছেন তা নিয়ে মন্তব্য করবো না।'
উল্লেখ্য, গত শনিবার সকালে রাজ্যপালের 'মধ্যরাত' হুঁশিয়ারির পরই বেনজিরভাবে সিভই আনন্দ বোসকে নিশানা করেছিলেন ব্রাত্য বসু। নাম না করে তাঁকে 'রক্তচোষা' বলেছিলেন শিক্ষামন্ত্রী। এক্সবার্তায় তিনি লিখেছিলেন, 'সাবধান সাবধান! শহরে নতুন রক্তচোষা বেরিয়েছে। নাগরিকরা সতর্ক থাকবেন। ভারতীয় পুরাণ অনুযায়ী একে বলে রাক্ষস প্রহর! তার অপেক্ষায় রয়েছি।'
রাজ্যপালকে পাল্টা তৃণমূল?
রাজ্যপালের এদিনের মন্তব্য নিয়ে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, 'নিশাচরীয় পদক্ষেপের কৌতুহল তো রাজ্যপালই বাড়িয়েছেন। রাতের বেলায় উনি কাকে চিঠি দিলেন, সেখানে কী লিখলেন সেটা তো উনিই ভালো করে বলবেন। এতে তৃণমূলের কিছু বলার নেই।'
শিক্ষামন্ত্রীকে 'জুনিয়র অ্যাপয়েন্টি' মন্তব্যে কুণাল বলেছেন, 'এখন যদি মুখ্যমন্ত্রী বলেন রাষ্ট্রপতির প্রতিনিধি রাজ্যপালের সঙ্গে কথা বলবো না, রাষ্ট্রপতির সঙ্গেই শুধু কথা বলবো, তাহলে ওনার কেমন লাগবে? ওনাকে বুধতে হবে মুখ্যমন্ত্রী সৌজন্য দেখাচ্ছেন, মুখ্যমন্ত্রী কাউকে কাজে বহাল করলে তাঁর সঙ্গেই রাজ্যপালকে কথা বলতে হবে।'
আরও পড়ুন- গাদাগুচ্ছের বিরোধী গ্রেফতারি-দল ভাঙানো, তৃণমূলের ‘বাজিমাতের’ প্রবল চেষ্টায় জল ঢালল হাইকোর্ট!