পার্থ, অনুব্রতর পর তৃণমূলের কোন নেতা, মন্ত্রীকে গ্রেফতার করা হবে? তা নিয়েই রাজ্য রাজনীতিতে জোর জল্পনা। এর মাঝেই তৃণমূল ছাত্র পরিষদের বৈঠকে অভিষেকের মন্তব্যে জল্পনার মাত্রা বাড়ল। যা তার কিছুক্ষণ পরে আশঙ্কায় পরিণত হল তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যের চাঁচাছোলা বক্তব্যে।
দুর্নীতির অভিযোগ একাধিক তৃণমূল নেতা, মন্ত্রীর বিরুদ্ধে। বিরোধীদের আক্রমণের নিশানায় রাজ্যের শাসক দল। চোর ধর-জেল ভর কর্মসূচি পালন করছে বাম, বিজেপি। পাল্টা বিরোধীদের উদ্দেশ্যে আক্রমণের ঝাঁঝ বাড়াচ্ছে তৃণমূল। অভিষেক বললেন, 'এই সমাবেশের পরেই হয়তো কাউকে গ্রেফতার করবে। তবে গ্রেফতার করেও তৃণমূলকে দমিয়ে রাখা যাবে না।' তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদকের মন্তব্যের পর শোরগোল পড়ে যায়। জোড়া-ফুলের অন্দরেই গুঞ্জন ওঠে তাহলে কী আবারও ঘনিয়ে এলো গ্রেফতারের পালা?
এরপরই প্রখর রোদে মঞ্চে চড়া সুরে বক্তব্য রাখেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সিপিএম আমলের দুর্নীতির নথি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। বিরোধিতা করলে জিভ টেনে ছিঁড়ে নেওয়ারও হুঁশিয়ারি দেন মুখ্যমন্ত্রী। নিজের বক্তব্যের মাঝেই সিবিআই, ইডি নিয়ে সরব হতে দেখা যায় তাঁকে। একসময় রাজ্যের মন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়রকে নিয়ে প্রবল আশঙ্কা প্রকাশ করেন মমতা। বলেন, 'ববিকে গ্রেফতার করলে জানবেন সব সাজানো। একটা কথাও বিশ্বাস করবেন না।'
গরু পাচারের অভিযোগে গ্রেফতার হলেও আগেই অনুব্রত মণ্ডলের পাশে দাঁড়িয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। কেষ্টর
সঙ্গেই যে তিনি রয়েছেন তা এ দিনও সাফ জানালেন মুখ্যমন্ত্রী। বললেন, 'পার্থ চোর কিনা সেটা বিচার হবে। তাই বলে কেষ্ট চোর, ববিও চোর, অরূপও চোর, অভিষেকও চোর, মমতা ব্যানার্জিও চোর, মেয়ো রোডও চোর, রেড রোডও চোর? আর তোমরা সব সাধু?'
দলের কোনও নেতার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠলেই কেন তাঁকে টানা হচ্ছে, এ দিন মঢ্চে সেই প্রশ্নও তোলেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, 'পার্থর দোষ হলে মমতাকে টেনে আনবে, ববির ব্যাপার হলেও মমতা ব্যানার্জিকে টেনে আনবে…!'