Moa Joynagar: এমনিতে স্বাস্থ্য সচেতন মুখ্যমন্ত্রী। পরিমিত আহার, শরীরচর্চা, হাঁটাহাটি তাঁর সুস্বস্থ্যের চাবিকাঠি। যা এতদিনে প্রায় সকলেরই জানা। প্রচণ্ড ব্যস্ততার মাঝেই কীভাবে এত ফিট থাকেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়? মঙ্গলবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার বহড়ু হাইস্কুলের মাঠে প্রশাসনিক সভার মঞ্চ থেকে সেই সিক্রেট জানালেন 'দিদি'।
Advertisment
এ দিন মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন, মোয়া শিল্পের প্রসার ঘটাতে জয়নগরে মোয়া হাব বানাতে চলেছে রাজ্য সরকার। সেই সঙ্গেই জয়নগরের মোয়া জিআই স্বীকৃতি পাওয়ায় তিনি শুভেচ্ছা জানিয়েছেন এই কারবারের সঙ্গে যুক্তদের। সভার শুরুতেই এনিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, 'আমি আজকে আপনাদের ধন্যবাদ জানাতে এসেছি এজন্য জয়নগরের মোয়া আজ জিআই পেয়েছে। বিশ্ববিখ্যাত হয়েছে। আমি তার কারিগর, দোকানদারদের সবার জয় হোক, জয় হোক, জয় হোক।' এরপরই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'আপনারা শুনলে খুশি হবেন, আমরা জয়নগরের মোয়ার জন্য একটা মোয়া হাব তৈরি করছি প্রায় আড়াই কোটি টাকা দিয়ে। তাতে সব জয়নগরের মোয়া এক জায়গায় আপনারা পেয়ে যাবেন।'
শীতের সময় মানেই জয়নগরের মোয়ার স্বাদ চেখে দেখা মাস্ট। আবার মোয়ার আঁতুড়ঘরে এসেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে উপহার দেওয়ার জন্য তৈরি ছিল ৫ কেজি ওজনের মোয়া। প্রশাসনিক সভায় এই মোয়া নিয়ে দু'চার কথা বলেছেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। সেই সূত্রেই উঠে এসেছে তাঁর ফিটনেস ফান্ডা। এ দিন মমতা বলেন, 'এই মাসটা তো পিঠে পুলি খাওয়ার মাস। আপনাদের বিধায়ক আমাকে অনেক জয়নগরের মোয়া দেয়। খেলে তো মোটা হয়ে যাব, তাই সেগুলো আমি সবাইকে দিয়ে দিই। এখানে বিভাস আছে। ওর একটা ফলের বাগান আছে। ও যত ফল পাঠায় আমি তত লোককে দিয়ে দিই। ওরা তো ভাবে দিদি খাবে। দিদি তো সকালে খায় একটু চা-টা সামান্য কিছু। আর রাতে খায়। তাছাড়া তো দিদি অন্য কিছু খায় না। এটা আজকের নয় অনেকদিনের।'
দুয়ারে লোকসভার ভোট। এসবের মধ্যেই এই সভা থেকে বিজেপিকে দুষেছেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, 'ভোটের আগে আপনারা গিমিক করছেন, করুন। আমার কোনও আপত্তি নেই। কিন্তু তা বলে অন্য সম্প্রদায়ের মানুষকে অবহেলা করা কারও কাজ নয়। আমি ওয়াদা করে যাচ্ছি, শপথ করে যাচ্ছি, তৃণমূলের সরকার যতদিন থাকবে বাংলায় শিখ-খ্রীষ্টান, তফসিলি-আদিবাসীদের ভাগাভাগি হতে দেব না। বাংলা শান্তির জায়গা, বাংলা কোনও ভেদাভেদ করে না, বাংলা মুসলমানদের মক্কা মদিনা, বাংলা হিন্দুদের দক্ষিণেশ্বের-বেলুড়মঠ, বাংলা তফসিলিদের মতুয়া ঠাকুর, বাংলা আদিবাসীদের জাহের থান।'