Advertisment

চা-ফুচকা-মোমো-সবজি বানিয়েছেন, এবার সিঙ্গারার লেচি বেললেন মমতা, সাজলেন পানও

পড়শি রাজ্যেও একই মেজাজে মমতা

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Mamata

বাংলা হোক বা অন্য কোথাউ। জনসংযোগে দেশের রাজনীতিবিদদের মধ্যে শীর্ষে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার সন্ধ্যায় ভোটমুখী ত্রিপুরায় অন্য মেজাজে ধরা দিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। এদিন উদয়পুরে গিয়ে ত্রিপুরেশ্বরী মন্দিরে পুজো দেন মমতা। ছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। পুজো দিয়ে আগরতলায় স্থানীয় বেশ কয়েকটি দোকানে ঢুঁ মারেন তৃণমূল নেত্রী। তখনই সিঙ্গারার লেচি বেলেন তিনি। বানিয়েছেন পান-ও।

Advertisment

এদিন শুরুতেই সকলকে সিঙ্গারা মুড়ি খাওয়ান মুখ্যমন্ত্রী। তারপরই দোকানের কর্মীর সঙ্গে সিঙ্গারা বানানো নিয়ে নানা কথা বলেন। তারপরই আচমকা বেলন-চাকিতে ময়দার লেচি বেলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। তার পর ছুরি দিয়ে তা মাঝখান থেকে দু’ভাগ করেন। বলেন, 'এ বার সিঙ্গারার পুর ভরে কড়াইতে চালান করে দিলেই হল!' একই মেজাজে পাশের দোকানে গিয়ে পান সেজেছেন তিনি।

এর আগে দীঘা, বীরভূমে মুখ্যমন্ত্রীকে চা বানাতে দেখা গিয়েছে। দার্জিলিংয়ে বানিয়েছেন মোমো, তৈরি করেছেন ফুচকা। সোনাধুরির কাছে কড়ায় তরকারি তৈরির সময় খুন্তি হাতে দেখা গিয়েছিল। পশ্চিম মেদিনীপুরে বেচেছেন চপ, ফুলুরি। এবার পড়শি রাজ্যেও তার ব্যতিক্রম হল না।

২১ অগাস্ট ২০১৯ সালে দীঘায় একটি চায়ের দোকানের সামনে পৌঁছন মমতা। দোকানদারকে সকলের জন্য চা তৈরি করতে বলেন। তার মধ্যেই ভিড়ের মধ্য থেকে একটি শিশুকে কোলে তুলে নেন মমতা। পাশের দোকারদারকে বলে চা তৈরি করতে। কিন্তু তখনও চা তৈরি না হওয়ায় নিজেই দোকানের ভিতরে ঢুকে যান তিনি। দোকানদারের হাত থেকে হাতা নিয়ে নেন। ফুটন্ত চা নাড়তে শুরু করেন। চায়ে দুধ কেন কম, তা-ও জানতে চান দোকানদারের কাছে। তার পর টেনে নেন পাশে রাখা বড় অ্যালুমিনিয়ামের মগ। ছাঁকনি দিয়ে চা ছাঁকতে শুরু করেন।

৩০ ডিসেম্বর ২০২০, বীরভূম জেলা থেকে ফেরার পথে আদিবাসী গ্রামে একটি চায়ের দোকানে ঢুকে পড়েন। তারপর সেই দোকানে ঢুকেই খুন্তি নাড়তে থাকেন। বল্লভপুর গ্রামের বাসিন্দারা স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রীকে আলু-বরবটির তরকারি রান্না করতে দেখে অবাক হয়ে যান।

আরও পড়ুন- ‘দিদি’র কাছে হাউ-হাউ করে কাঁদলেন প্রাক্তন মন্ত্রী, মাথায় স্নেহের পরশ মমতার

গত বছর ৩১ মার্চ মুখ্যমন্ত্রী পাহাড়ে মোমো বানিয়েছেন। তারপর ওই বছরই ১২ জুলাই পাহাড়ের রাস্তার পাশে হঠাৎই ফুচকার দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে পড়েন। ফুচকায় আলুমাখা মশলা ও তেঁতুলের টক জল দিয়ে নিজের হাতে বিলি করতে থাকেন। সেদিন বাংলাদেশের জনৈকি অতিথি ও শিশুদের ফুচকা নিজেই বিলি করেছেন তিনি।

এরপর ১৪ জুলাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দার্জিলিংয়ের রাস্তায় প্রাতর্ভ্রমণে বেরিয়ে মোমো বানান। মুখ্যমন্ত্রী রীতিমতো দোকানের অন্য কর্মীদের সঙ্গে বেঞ্চে বসে চাকি-বেলনা হাতে নিয়ে ময়দা বেলতে থাকেন। বানান মোমো। এরপর ১লা ফেব্রুয়ারি বীরভূমে ফের চা তৈরিতে হাত লাগান মুখ্যমন্ত্রী।

Mamata Banerjee Election Tripura TMC
Advertisment