পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দেখানো পথে হাঁটল নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকার। বাংলার বাছাই ৩৫টি ক্লাবকে অনুদান দিল কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রক। প্রতিবছর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দুর্গাপুজোর আগে আবেদনকারী রাজ্যের বিভিন্ন ক্লাবকে আর্থিক অনুদান দিয়ে থাকেন। এবার সেই নীতি মেনে কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রক বাছাই ক্লাবগুলোকে ৫০ হাজার টাকা থেকে ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আর্থিক অনুদান দিল।
রবিবার কলকাতায় এক অনুষ্ঠান আয়োজনের মাধ্যমে এই অনুদান দেওয়া হয়েছে। একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সহায়তায় অনুদান তুলে দেওয়া হয়েছে ৩৫টি ক্লাবের কর্তাদের হাতে। তার মধ্যে ২৫টি ক্লাবকে দেওয়া হয়েছে ৫০ হাজার টাকা করে। আর, ১০টি ক্লাবের প্রতিটিকে দেওয়া হয়েছে ১ লক্ষ টাকা। অনুদানপ্রাপ্ত ক্লাবগুলোর তালিকায় রয়েছে কলকাতার সন্তোষ মিত্র স্কোয়ার, বালুরঘাটে সুকান্ত মজুমদারের ক্লাব-সহ অন্যান্য ক্লাবগুলো।
মূলত বিজেপি নেতাদের ক্লাবগুলোকেই পুরস্কৃত করা হয়েছে বলে অভিযোগ। যদিও সেকথা মানতে নারাজ উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, ধর্মনিষ্ঠা মেনে যাঁরা পুজো করেছেন, তাঁদেরকেই সম্মানিত করা হয়েছে। এজন্য ওই সব পুজো কমিটিগুলো নির্দিষ্ট ফর্ম ফিলআপও করেছিল।
অবশ্য কেন্দ্রীয় সরকারের এভাবে ক্লাবগুলোকে অনুদান দেওয়া ইস্যুতে কড়া সমালোচনা করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। দলের তরফে মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, 'এর থেকেই ফের প্রমাণ হল যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আজ যা ভাবেন, কাল তা ভারতবর্ষ ভাবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন পুজো কমিটিগুলোর পাশে দাঁড়িয়েছিল, তখন গেল গেল রব তুলেছিল বিজেপি। তারা প্রশ্ন করেছিল, কেন ক্লাবগুলোকে টাকা দেওয়া হবে? আর, এখন দেখা গেল বিজেপিই সেটা নকল করছে। এজন্য নির্লজ্জ, বেহায়া বিজেপি নেতাদের আগে ক্ষমা চাওয়া উচিত।'
তবে, তৃণমূল কংগ্রেসের এই নকল করার অভিযোগ মানতে চায়নি বিজেপি। দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, 'কেন্দ্রীয় সরকার দুর্গাপুজোকে হেরিটেজ ঘোষণা করার উদ্যোগ নিয়েছে। এখানে নকল করার কিছুই নেই। দুর্গাপুজো যাতে আরও ভালোভাবে আয়োজন করা যায়, সেই জন্য সরকার ক্লাবগুলোকে অর্থসাহায্য করার উদ্যোগ নিয়েছে।'
আরও পড়ুন- বাংলায় শীঘ্রই সিএএ! শান্তনুর সুরেই এবার ডেটলাইনও ঘোষণা শুভেন্দুর