মনোনয়নের শুরুর দিন থেকেই অশান্তির আঁচ মিলেছিল। প্রথম দিনই ভাঙড়ে হিংসা ছড়ায়। যা ক্রমশ বেড়েছে। পঞ্চায়েতের মনোনয়ন পর্বের শেষ দিনে দুই বিরোধী দলের কর্মী খুন হয়েচে। দুপুরে উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ায় খুন হয়েছেন এক সিপিআইএম কর্মী। আর বিকেলে এক আইএসএফ কর্মীকে খুনের ঘটনা ঘটে ভাঙড়ে। জ্বলছে ভাঙল ২ নম্বর ব্লক। ভাঙড়ের পরিস্থিতির জন্য বৃহস্পতিবার আইএসএফ-কে দায়ী করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা থেকে মমতা বলেন, 'ভাঙড়ে একটা দল নতুন জিতেছে। তারাই পরশুদিন ওখানে গন্ডগোল, লুঠপাট করেছে, আগুন লাগানো শুরু করেছে। মুসলমানদের উস্কানি দিয়েছে। গতকাল বুধবার তৃণমূলের পক্ষ থেকে তার প্রতিবাদ, প্রতিরোধ হয়েছিল। তবে শুরুটা করেছিল ওরা। এটা সত্য। আজকের ঘটনা পুরোটা জানি না। পুলিশকে কড়া পদক্ষেপ করতে বলেছি।'
মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, ভাঙড়ের সংখ্যালঘু মুসলিমদের বিপথে চালিত করে, ভুল বুঝিয়ে গন্ডগোল পাকানোর চেষ্টা চলছে। নাম না করলেও এর জন্য দায় চাপিয়েছেন বিধায়ক নৌশাদ সিদ্দিক্কির ঘাড়েই।
আরও পড়ুন- ভাঙড়ে খুল্লামখুল্লা বোমা-গুলি, নিহত ISF কর্মী, অথচ দুষ্কৃতীদের দেখতেই পাচ্ছে না পুলিশ!
পাশাপাশি চোপড়ায় ঘটনায় ও সামগ্রিক আশান্তির জন্য সিবিআইএমকেও দায়ী করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। ২০০৩, ২০০৮ সালে বাম জমানায় সংগঠিত পঞ্চায়েত ভোটে মৃত্যুর খতিয়েন এদিন তুলে ধরেন মমতা। নন্দীগ্রাম হিংসার উদাহরণও দেন তিনি। এরপরই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'নক্কারজনক ঘটনা। এইসব রাজনৈতিক দলের নাম নিতেও আমার ঘৃণা, লজ্জা করে। নন্দীগ্রামে যারা মানুষ মেরে জলে ভাসিয়েছে তারাও আজ গলা তুলে কথা বলছে। বলছে প্রতিরোধ হচ্ছে। আমি বলছি আগে নিজেদের ভাষা প্রতিরোধ করুন।'
শেষে বিরোধীদের মুখ্যমন্ত্রীর হুঁশিয়ারি, 'বেশি বাড়াবাড়ি করছেন। কোনও কিছুই একতরফা হয় না, মানুষ এর জবাব দেবে।'