একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে গোটা বাংলা উত্তপ্ত হয়েছিল শীতলকুচিকে কেন্দ্র করে। কোচবিহারই উঠেছিল একুশের ভোটের ভরকেন্দ্র। বিজেপির শক্ত ঘাঁটি সেই কোচবিহারই পঞ্চায়েত ভোটে তৃণমূলের অন্যতম টার্গেট। মাস দু'য়ের আগে এই কোচবিহার থেকেই নবজোয়ার যাত্রা শুরু করেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সোমবার সেই কোচবিহার থেকেই পঞ্চায়েতের প্রচার ময়দানে নামলেন খোদ তৃণমূল সুপ্রিমো। দক্ষিণ কোচবিহার বিধানসভা এলাকার অন্তর্ভুক্ত এলাকায় পঞ্চায়েত নির্বাচনকে সামনে রেখে এদিন জনসভা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সভাতেই বিধানসভা ভোটে শীচলকুচির প্রসঙ্গ টেনে বিএসএফ-কে নিয়ে ভয়ঙ্কার আশঙ্কার কথা শুনিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
Advertisment
কী বলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়?
সোমবার কোচবিহারের চান্দামারির সভা থেকে বিএসএফকে নিশানা করেন তৃণমূল নেত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, তাঁর কাছে খবর আছে পঞ্চায়েত ভোটে সীমান্ত এলাকায় ভয় দেখাতে পারে সীমন্ত সুরক্ষা বাহিনী। এমন ঘটনা দেখলে কী করতে হবে তাও বাতলে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, 'গুলি করাটা যেন বিএসএফ-এর অধিকারের পর্যায়ে পড়ে গিয়েছে। কোচবিহারে গুলি করে মেরেছে। শীতলকুচিতে ৪জনকে গুলি করে মেরেছে। খবর আছে, পঞ্চায়েত ভোট সময় ভয় দেখাতে পারে। ইডি, সিবিআই-এর ভয় দেখাতে পারে ভয় পাবেন না। ভয় দেখালে আমাদের জানান।'
এরপরই উত্তরবঙ্গবাসীকে আশ্বস্ত করতে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'মনে রাখবেন আইন-শৃঙ্খলা রাজ্যের হাতে। তাই ওরা কিছু করতে পারবেন না।'
এ প্রসঙ্গে তিনি মনে করিয়ে দেন সম্প্রতি বিএসএফ তার কাজের এক্তিয়ার বাড়িয়েছে। আগে ১৫ কিলোমিটার পর্যন্ত সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর এক্তিয়ার ছিল। তা বাড়িয়ে বর্ডারের পর ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত করা হয়েছে। কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে মুখর তৃণমূল কংগ্রেস।